—প্রতীকী চিত্র।
নতুন ব্যবস্থায় যাঁরা করের হিসাব করতে চান, তাঁরা ২০২৪-২৫ হিসাববর্ষ থেকেই প্রথম আয়কর রিটার্ন দেবেন। রিটার্ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ, ১ এপ্রিল থেকে। গত অর্থবর্ষ (২০২৩-২৪) থেকে নয়া কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। নতুন এবং পুরনো, দুই ব্যবস্থায় থাকা করাদাতাদেরই গত অর্থবর্ষের আয়ের নিরিখে ২০২৪-২৫ হিসাববর্ষে (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) রিটার্ন জমা দিতে হবে। রবিবার মাঝরাতে অর্থ মন্ত্রক এক্স-এ জানায়, সামাজিক
মাধ্যমে নতুন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে বহু ভুল তথ্য ঘুরছে। মানুষের স্বার্থে তাই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছে তারা। বলা হয়েছে, এটাই এখন দেশের প্রধান কর ব্যবস্থা, যেখানে করের হার কম। নতুন ও পুরনো ব্যবস্থার মধ্যে লাভ অনুযায়ী একটি বাছতে পারবেন করদাতারা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যে সব করদাতার হিসাব অডিট করাতে হয় না. তাঁরা যদি পুরনো কর ব্যবস্থায় থাকতে চান, তা হলে তাঁদের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতেই হবে। না হলে তাঁরা বাধ্যতামূলক ভাবে নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবেন।
নয়া কর ব্যবস্থায় করের হার কম বটে। তবে কর ছাড়ের সুবিধাও কম। চাকুরিজীবীরা ৫০,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সঙ্গে আয়কর ধারার ৮০সিসিডি(২) অনুযায়ী এনপিএসে নিয়োগকারীর দেয় টাকা (বেতনের ১০% পর্যন্ত) ও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কর ছাড় পাবেন। কারও ফ্যামিলি পেনশনে ১৫,০০০ টাকায় কর ছাড় পাবেন। অবসরের সময় পিএফ, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদিতে যে ছাড় আছে, তা-ও পাবেন। বিশেষ রিবেটের সুবাদে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর নেই।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর নেই। ৩-৬ লক্ষ টাকায় ৫%। ৬-৯ লক্ষ টাকায় ১০%। ৯-১২ লক্ষ টাকায় ১৫%। ১২-১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ২০%। ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০%। এর সঙ্গে দেখানো হয়েছে পুরনো করের হিসাবও।
আয়কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈন ও রাজীব নাগ বলেন, কোন ব্যবস্থায় কর কম দিতে হবে, তা ভাল করে হিসাব করতে হবে। আয়ের উৎস ব্যবসা বা পেশা হলে এক বারই নয়া ব্যবস্থায় গিয়ে পরে ফের পুরনো ব্যবস্থায় ফেরা যাবে। চাকুরিজীবী-সহ অন্য করদাতারা যত বার খুশি বদলাতে পারবেন।