প্রতিযোগী সংস্থা স্ন্যাপডিলকে কিনে নেওয়ার জল্পনার মধ্যেই বাজার থেকে ১৪০ কোটি ডলার (প্রায় ৯,১০০ কোটি টাকা) তুলল ফ্লিপকার্ট। মাইক্রোসফট, চিনের টেন্সেন্ট হোল্ডিংস এবং ই-বের থেকে ওই টাকা তুলেছে ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থাটি। সংস্থার ১০ বছরের ইতিহাসে যা বৃহত্তম, সেই সঙ্গে ভারতের ইন্টারনেট শিল্পেও নজির বলে এক বিবৃতিতে সোমবার দাবি জানিয়েছে ফ্লিপকার্ট।
পাশাপাশি, আলাদা চুক্তিতে ফ্লিপকার্ট হাতে নিতে চলেছে নেটে কেনাকাটার মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ই-বের ভারতের ব্যবসা। দেশে দুই সংস্থার কাজকর্ম মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে ই-বে ফ্লিপকার্টে ঢালবে ৫০ কোটি ডলার। বদলে চুক্তি অনুযায়ী প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হলে ফ্লিপকার্টই ই-বের ব্যবসার রাশ হাতে নিয়ে তা চালাবে। ব্র্যান্ড-নাম থাকবে ই-বেরই।
নতুন করে টাকা তোলার ফলে সম্পদ ও দায়ের নিরিখে ফ্লিপকার্টের মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ১১৬ কোটি ডলারে। তবে তা ই-কমার্স সংস্থাটির ২০১৫ সালের ১৫০ কোটির মূল্যায়নের তুলনায় অনেকটাই কম।
প্রসঙ্গত, ফ্লিপকার্টের বৃহত্তম লগ্নিকারী সংস্থা হল মার্কিন হেজ ফান্ড সংস্থা টাইগার গ্লোবাল। এ ছাড়াও, এক্সেল পার্টনার্স, ডিএসটি গ্লোবাল, বাইলি গিফোর্ডের মতো লগ্নিকারীরা রয়েছে এই তালিকায়। সম্প্রতি সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সিইও হিসেবে কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তিকে নিয়োগ করেছে টাইগার গ্লোবাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন করে তোলা এই অর্থ কৃষ্ণমূর্তির অধীনে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজে লাগানো হবে।
আরও পড়ুন...
ফের কর্মীদের ভরসা দিল স্ন্যাপডিল
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের দুই প্রাক্তন কর্মী সচিন বনসল ও বিন্নি বনসলের হাত ধরে তৈরি হয় ফ্লিপকার্ট। বই দিয়ে শুরু করলেও, ধীরে ধীরে বিক্রির পরিধি বাড়িয়েছে সংস্থা। পেয়েছে দেশের বৃহত্তম ই- কমার্স সংস্থার তকমা। ২০১৪ সালেই মিন্ত্রা ও জাবং-কে কিনেছে তারা।
কিন্তু, বাজার দখল বাড়াতে গিয়ে অন্যান্য ই-কমার্স সংস্থার মতোই ঢালাও ছাড় দেওয়ার পথে হেঁটেছে ফ্লিপকার্ট। যা করতে গিয়ে লাভের দিকে সে ভাবে তাকায়নি। বিশেষ করে অ্যামাজন সরাসরি ভারতে পা রাখার পর থেকেই প্রতিযোগিতা বেড়েছে নেটে কেনাকাটার সংস্থাগুলির মধ্যে। মুনাফার মুখ দেখতে ক্রমশই লগ্নিকারীদের চাপ বাড়ছে তাদের উপর। এই অবস্থায় আগামী দিনে ফ্লিপকার্ট কোন পথে এগোয়, এখন সে দিকেই তাকিয়ে সব মহল।