প্রতীকী ছবি।
ডায়বেটিসের একটি ইনজেকশনের তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়াল এড়াতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বায়োকন বায়োলজিক্সের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সেই কাণ্ডে জয়েন্ট ড্রাগস কনট্রোলার এস ঈশ্বর রেড্ডি, সংস্থার অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট এল প্রবীণ কুমার-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তবে ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কিরণ মজুমদার ’শ-এর বায়োকনের শাখা সংস্থাটি। দাবি, সব ওষুধ বাজারে আনা হয় নিয়ন্ত্রকের নিয়ম মেনেই।
সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে সিনার্জি নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর দীনেশ দুয়া, বায়োকন বায়োলজিক্সের গুলজিৎ শেঠি, অ্যাসিসট্যান্ট ড্রাগ ইনসপেক্টর অনিমেষ কুমারকেও। রেড্ডি এখন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজ়েশনের নয়াদিল্লির দফতরে রয়েছেন। অভিযোগ, ইনসুলিন ইনজেকশনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা এড়াতে রেড্ডিকেই ঘুষ দিতে গিয়েছিলেন দুয়া। ষড়যন্ত্রে শামিল ছিলেন বাকিরাও। এফআইআরে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত লাভের জন্য ইনজেকশনটির ফেজ় থ্রি ক্লিনিকাল ট্রায়াল বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন রেড্ডি। অথচ ওষুধ বাজারে আনার আগে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষা জরুরি। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে সংস্থার মুখপাত্র ঘুষের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, এটা কিছু সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা গল্প। সব ওষুধ বৈধ, বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষার পরে আনা হয় ও তার যাবতীয় তথ্যও থাকে। পণ্যে নিয়ন্ত্রক ডিসিজিআইয়ের অনুমোদনের নিয়ম মানা হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।