বড় মাপের ব্যাঙ্কঋণ-খেলাপি ১২টি সংস্থাকে গত সপ্তাহেই চিহ্নিত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৬টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে আগামী কাল সোমবার থেকেই বৈঠকে বসছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। দেউলিয়া আইনে এই সব সংস্থার বিরুদ্ধে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিতেই এই বৈঠক।
ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রে খবর, এন সি এল টি-তে যাওয়ার আগে ওই ৬টি ঋণ-খেলাপি সংস্থার কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের পথ ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিতে চান ব্যাঙ্ককর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ঋণদাতারা আইনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোতে আগ্রহী।
ব্যাঙ্ককর্তারা জানান, এই ৬টি ঋণ-খেলাপি অ্যাকাউন্ট হল: ভূষণ স্টিল, এসার স্টিল, ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল, অলক ইন্ডাস্ট্রিজ, মনেট ইস্পাত ও অ্যামটেক অটো। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে এদের খাতায় জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ। পেশাদার দেউলিয়া আইন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ নিয়েও কথা বলবেন ব্যাঙ্ক-কর্তারা। সে ক্ষেত্রে তাঁরাই ঋণ উদ্ধারের পরিকল্পনা তৈরি করে তা পেশ করবেন ব্যাঙ্কগুলির কাছে।
তবে বিভিন্ন ঋণ-খেলাপি সংস্থার কাছে ই-মেল পাঠিয়েও জবাব মেলেনি। তাদের সঙ্গে অন্য ভাবে যোগাযোগও করা যায়নি। অন্য দিকে এসার স্টিলের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আমাদের এ ধরনের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও কথা জানা নেই।’’
প্রসঙ্গত, আরবিআই যে ১২টি বড় অঙ্কের ঋণ-খেলাপি সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে, তাদের বকেয়ার অঙ্ক ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাদের হাতেই রয়েছে ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে চাপা মোট অনুৎপাদক সম্পদের ২৫%। ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রে খবর, এর জেরে অনাদায়ী ঋণের বোঝায় জেরবার মূলত স্টেট ব্যাঙ্ক, পিএনবি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক।