প্রতীকী ছবি।
তিন মাস অন্তর জিএসটি পরিষদের বৈঠকে প্রায় নিয়ম করে কর কমানোর দাবি ওঠে। মাঝে-মধ্যে কর হারের রদবদলও হয়। রবিবার কলকাতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ কথা জানিয়ে বলেন, এতে সময় নষ্ট হয়। বছরে বারবার কর বদলালে হিসেবের ঝক্কি পোহাতে হয়। সমস্যা হয় রিফান্ডে। শিল্প নিশ্চিত হতে পারে না বছরে কত কর দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিও আয়ের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে না। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব, তাই পরিষদের প্রতিটি বৈঠকে নয়, বছরে এক বারই কর কাঠামোয় সংস্কারের আলোচনা হোক। কর কমলে সে বারই কমুক।
সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, কর কমাতে কেন শুধু কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানায় শিল্প? জিএসটি-র কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্যগুলির কাছেও সেই আবেদন করা উচিত। কারণ, পরিষদের বৈঠকে সেই আবেদন তোলার দায়িত্ব রাজ্যেরও। তাদের উপরে চাপ বাড়িয়ে নির্মলা বলেন, ‘‘প্রত্যেক রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও এ নিয়ে জিএসটি পরিষদে কথা বলুন।’’
পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটিতে আনা নিয়েও রাজ্যের দিকে এ দিন বল ঠেলেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্যগুলি পুরনো ভ্যাটের হারে ওই দুই পণ্য থেকে বিপুল কর পায়। জিএসটিতে এলে কর কমার সম্ভাবনাই বেশি। তখন রাজ্যের আয়ও কমবে। নির্মলার বক্তব্য, তেলে কর ধার্য হবে কি না, তা নির্ভর করবে জিএসটি পরিষদ ও রাজ্যগুলির উপর। তৈরি থাকলে তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।
জিএসটি বার্তা নির্মলার
• জিএসটি কমানোর আর্জি শুধু কেন্দ্রের কাছেই জানায় কেন শিল্প মহল?
• রাজ্যেরও ওই কর কমানোর দায় রয়েছে। তাই এ বার থেকে রাজ্যের কাছেও আর্জি জানাক সবাই
• রাজ্যগুলি মনে করলে জিএসটি পরিষদের কাছে সেই আবেদন জানাক
• পরিষদের প্রতিটি বৈঠকে করের হার বদল নিয়ে আলোচনা করলে সমস্যা বাড়ে। অযথা সময় নষ্ট হয়
• বারবার কর হারের বদল হলে শিল্প মহল ও সরকার, দু’পক্ষকেই নতুন করের হিসেবনিকেশ করতে হয়
• তাই বছরে একবারই হোক কর বদল নিয়ে কথাবার্তা। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নেওয়া হোক ওই বৈঠকেই
নির্মলার এ দিন দাবি, জিএসটি খাতে আয় কমেনি। বরং সম্প্রতি তা বেড়েছে। যদিও হিসেব বলছে আদায় লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছয়নি। তাই শেষ তিন মাসে নতুন লক্ষ্য বেঁধেছে কেন্দ্র। তবে গত ক’মাসে জিএসটি আয় ধাক্কা খাওয়ার কথা মেনেছে রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে।