আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়াল। প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়াতেই ডলারের নিরিখে ফের কমল টাকার দাম। বৃহস্পতিবার ১ ডলারের দর ৮ পয়সা বেড়ে হল ৮২.৮৮ টাকা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে, তিন দশকের বৃহত্তম সুদ বৃদ্ধির পথে হেঁটেছে ব্রিটেনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফের ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়ে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড তা নিয়ে গিয়েছে ৩ শতাংশে।
অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ, সুদ বৃদ্ধির ফলে আমেরিকা ও ব্রিটেনে মন্দার আশঙ্কা গভীরতর হল। এর জেরে বিশ্ব অর্থনীতি আরও ধাক্কা খেতে পারে। প্রভাব এড়িয়ে থাকতে পারবে না ভারতও। টাকা আরও দুর্বল হলে তেল-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি খরচ বাড়বে। চাপ বাড়বে অর্থনীতিতে।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের বক্তব্য, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সুদ বৃদ্ধির ফলে টাকার আরও পতন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার ঋণপত্রের বাজার লগ্নিকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হবে। ভারত থেকেও লগ্নিকারীদের টাকা দিয়ে ডলার কিনে সেই ঋণপত্র কেনার প্রবণতা বাড়বে। তাতে ডলারের চাহিদা ও দাম বাড়বে। ডলারের নিরিখে কমবে টাকা।’’ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, ডলারের দাম ৮৫ টাকায় পৌঁছতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা এবং ব্রিটেন এখন রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির কবলে। সেখানে সুদের হার বৃদ্ধি আরও কিছু দিন চলবে। যার জন্য ভুগতে হবে ভারতকে।’’ তবে বন্ধন ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সিদ্ধার্থ সান্যালের মতে, ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ইতিবাচক দিককে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘ডলারের দাম বাড়লে দেশের রফতানি বাণিজ্য চাঙ্গা হবে। বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।’’