সপ্তাহটা শুরুই হয়েছিল পতন দিয়ে। বুধবারও সেনসেক্স পড়েছে ১২৭.৯৭ পয়েন্ট। এই নিয়ে টানা তিন দিনে সূচক পড়ল ৪০৪.৪০ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৫,১০১.৭৩ অঙ্কে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টি ৪০.৪৫ পয়েন্ট পড়ে থামে ৭,৭০৬.৫৫ অঙ্কে।
এ দিকে, চিন ফের তার মুদ্রার মূল্যহ্রাস করেছে। তবে এই খবর বাজার বন্ধের পরে আসে। ফলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আজ বৃহস্পতিবার এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে ভারতের শেয়ার বাজারে।
এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও ১৩ পয়সা পড়েছে। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫৫ টাকা।
শেয়ার বাজারের পতনকে টাকার দাম পড়ার অন্যতম কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বিক্রি করে হাতে পাওয়া টাকা ডলারে পরিণত করে নিয়ে যাওয়ার ফলেই বাজারে মার্কিন মুদ্রার চাহিদা বেড়ে যায়। যার জেরে বৃদ্ধি পায় তার দামও।
চলতি মাসে বাজার তেমন ওঠার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছন বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ। এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারে বিশেষ কয়েকটি বিষয় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যেমন:
• দেশের বৃদ্ধির হারের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে কমার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। সেটা ঘটলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চট করে ফের সুদের হার কমানোর আশা দূর অস্ত্।
• রফতানি বাণিজ্যের হাল এখনও তেমন ভাবে ফেরেনি।
• হালে শেয়ার বাজার পড়ার প্রধান কারণ কিন্তু বিশ্ব বাজারের হাল খারাপ হওয়া। বিশেষ করে জাপানের শীর্ষ ব্যাঙ্ক দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা না-করায় সে দেশের লগ্নিকারীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হু হু করে পড়ছে জাপানের সূচক নিক্কেই। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে ভারত-সহ বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশে।
তবে স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘বাজারকে তেজী করে তোলার মতো কোনও উপাদান এই মুহূর্তে চোখে পড়ছে না। যদিও সূচকে বড় মাপের পতন হওয়ারও সম্ভাবনা তেমন দেখা যাচ্ছে না। বরং এ মাস একটু ঢিমেতালেই যাবে মনে হয়। বড়জোর নিফ্টি ৪০০ পয়েন্ট এবং সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পড়তে পারে।’’
এই দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়েছে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোনের শেয়ার দর। সংস্থার শেয়ার দর প্রায় ১২ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ভাল রকম পতন হয়েছে অ্যাল্স্টম টিডি ইন্ডিয়ার শেয়ারের দামে। পড়েছে ৬.৫ শতাংশ।