পূরণ হল না রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য। মার্চে রফতানি বাড়া তো দূরের কথা, এক ধাক্কায় তা সরাসরি কমেছে ২১.০৬%, যা গত ছ’বছরে সবচেয়ে বেশি। এর জেরে সদ্য সমাপ্ত ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে রফতানি থমকে গিয়েছে লক্ষ্যমাত্রার আগেই। যেখানে কেন্দ্র রফতানির বার্ষিক লক্ষ্য স্থির করেছিল ৩৪,০০০ কোটি ডলার (২০.৪০ লক্ষ কোটি টাকা), সেখানে বাস্তবে তা দাঁড়িয়েছে ৩১,০৫০ কোটি ডলার (১৮.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা)। মার্চে তা কমে হয়েছে ২৩৯৫ কোটি ডলার। ২০১৪-’১৫ সালে তার আগের বছরের থেকে রফতানি কমেছে ১.২৩%।
পাশাপাশি সোনা আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল হওয়ায় মার্চে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ছুঁয়েছে ৪৯৮ কোটি ডলার। মূলত রফতানি না-বাড়া ও আমদানির চাপ মার্চে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতিকে ঠেলে তুলেছে ১,১৭৯ কোটি ডলারে। গত চার মাসে যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের জন্য এই ঘাটতি ১৩,৭০০ কোটি ডলার।
মার্চে রফতানি কমেছে পেট্রোপণ্যের (৫৯.৫%), রত্নালঙ্কার, রাসায়নি, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে, মোট রফতানিতে যাদের অবদান প্রায় ৭০%।
গত অর্থবর্ষে আমদানি মাত্র ০.৫৯% কমে হয়েছে ৪৪,৭৫০ কোটি ডলার। মার্চে তা কমেছে ১৩.৪৪%। তবে তেল আমদানি মার্চে ৫৩% কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪১ কোটি ডলারে।
রফতানি তলানিতে ঠেকায় কেন্দ্রের কাছে আরও সহায়তা দাবি করেছে উদ্বিগ্ন ফিও। রফতানিকারীদের এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এস সি রলহান বলেন, রফতানিকে অবিলম্বে অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।