এআইএস-এ করদাতার সমস্ত লেনদেনের তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। আয় এবং তার বদলও ধরা পড়ে। —প্রতীকী চিত্র।
করদাতার জমা দেওয়া লেনদেন এবং রোজগারের বার্ষিক তথ্য (অ্যানুয়াল ইনফর্মেশন স্টেটমেন্ট (এআইএস) এবং আয়কর রিটার্নে দেখানো আয়ের মধ্যে গরমিল ধরা পড়লেই এসএমএস এবং ই-মেল পাঠাচ্ছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। যাঁরা এখনও পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেননি, তাঁদের কাছেও এ ভাবে যাচ্ছে বার্তা। কর পর্ষদের দাবি, গরমিল সম্পর্কে আয়করদাতরা যাতে সতর্ক হতে পারেন এবং নিজেদের ভুলগুলি শুধরে নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। তাই বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে তাঁদের সাহায্য করতে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। ২০২১-২২ এবং ২০২৩-২৪ সালের হিসাবের নিরিখে পাঠানো হচ্ছে এসএমএস এবং ই-মেল, মঙ্গলবার জানিয়েছে তারা।
এমনিতে এআইএস-এ করদাতার সমস্ত লেনদেনের তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। আয় এবং তার বদলও ধরা পড়ে। আয়কর দফতরের পোর্টালে গিয়ে তা দেখতে পারেন করদাতা। চাইলে সেই তথ্যের ভিত্তিতে কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে মতামত দিতে পারেন তাঁরা। প্রয়োজনে আপত্তিও জানাতে পারেন। প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, যাঁরা নিজেদের পুরো আয় দেখাননি, তাঁরা এই সুযোগে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালের রিটার্ন বদলাতে পারবেন। ২০২১-২২ সালের ক্ষেত্রেও আয়কর রিটার্ন পরিবর্তন বা ‘আপডেট’ করার সুযোগ মিলবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি (২০২৪-২৫) হিসাববর্ষের জন্য যে সমস্ত করদাতা বিদেশে আয় বা সম্পদের তথ্য জমা দেননি, তাঁদের বৈদ্যুতিন বার্তা পাঠানোর কর্মসূচি এনেছিল আয়কর দফতর।
এ দিকে, গত অর্থবর্ষে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৬.৬৮% আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি দাবি করেন, গত অর্থবর্ষে ৮.০৯ কোটি মানুষ রিটার্ন দিয়েছেন। যা তার আগের বছরের ৭.৪০ কোটির থেকে বেশি। ২০২১-২২, ২০২০-২১ এবং ২০১৯-২০ সালে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬.৯৬ কোটি, ৬.৭২ কোটি এবং ৬.৪৮ কোটি। পাশাপাশি, ২০২৩-২৪ সালে ৪.৯ কোটি করদাতা রিটার্ন দিলেও, করের আওতায় পড়েন না বলে জানিয়েছেন।