প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
গড়া হয়েছে চাহিদা ও জোগান বৃদ্ধির রাস্তা। পরিবেশও তৈরি। এ বার বাজার তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলিকে। রবিবার ভারতে সুজ়ুকি মোটর কর্পোরেশনের ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে দেশের গাড়ি শিল্পকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আমদানি খরচ ও দূষণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ছাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। জোর দিচ্ছে পেট্রলে ইথানলের ব্যবহার বৃদ্ধি, জৈব জ্বালানিতে। সংস্থাগুলিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন বাড়াতে বলা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মোদীর দাবি, ২০৩০ সালে দেশের মোট জ্বালানির চাহিদার মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ভাগ ৫০ শতাংশে নামাতে চায় সরকার। তাঁর বক্তব্য, দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার যে ভাবে বাড়ছে, কয়েক বছর আগেও তা ভাবা যেত না। দু’চাকা হোক বা চার চাকা, বৈদ্যুতিক গাড়ি নিঃশব্দে চলে। এই বৈশিষ্ট্যই ভারতে নিঃশব্দ বিপ্লবের সূচনা করবে। বৈদ্যুতিকের প্রয়োজনীয়তার কথা মেনেও সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, এর বাজার বাড়াতে দাম আয়ত্তে আনা জরুরি। শক্তপোক্ত করতে হবে ব্যাটারি বদল, চার্জিং স্টেশনের মতো পরিকাঠামো।
এ দিন বোতাম টিপে গুজরাতে সুজ়ুকি মোটর গুজরাতের গাড়ির ব্যাটারি কারখানা এবং হরিয়ানায় মারুতি সুজ়ুকির নতুন গাড়ি ইউনিটের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা যাতে বাড়ে ও সংস্থাগুলি যাতে উৎপাদন বাড়াতে পারে, সে জন্য পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ক্রেতাদের জন্য যেমন ভর্তুকি ও সহজে ঋণের রাস্তা খুলে দিচ্ছে, তেমনই শিল্পকেও বিভিন্ন ছাড় দিয়েছে। যন্ত্রাংশ এবং ব্যাটারি তৈরিতে উৎসাহ দিতে আনা হয়েছে উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভর্তুকি প্রকল্প।’’ মোদীর আবেদন, উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় জোর দিক সংস্থাগুলি। সুজ়ুকি মোটর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তোশিহিরো সুজ়ুকি ভারতে সুজ়ুকি আরঅ্যান্ডডি সেন্টার নামে গবেষণা সংস্থা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। ২০২৬ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা লগ্নির কথা জানিয়েছে সুজ়ুকি।