—ফাইল চিত্র।
দেশের বাজারে চাহিদা যে তলানিতে ঠেকেছে, তা আরও স্পষ্ট হল শুক্রবার, জুনের শিল্প বৃদ্ধির হার সামনে আসতেই। এ দিন প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, আগের বছরের জুনে যা ছিল ৭%, এ বার তা-ই নেমেছে ২ শতাংশে। চার মাসের মধ্যে সব থেকে কম।
হিসেব বলছে, এ জন্য দায়ী প্রধানত মূলধনী পণ্যের উৎপাদন জুনে সরাসরি ৬.৫% কমে যাওয়া। যেখানে এক বছর আগে তা বেড়েছিল ৯.৭%। মূলধনী পণ্য ব্যবহৃত হয় অন্য পণ্য উৎপাদনেরর কাজে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দেশে লগ্নি বাড়ছে না কমছে, তার অন্যতম মাপকাঠি এটি। ফলে জুনের এই ছবি থেকে বর্তমান আর্থিক অবস্থাটা সহজেই অনুমেয়। বিশেষত ঝিমিয়ে থাকা চাহিদার প্রমাণ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদনও যেখানে সরাসরি কমেছে ৫.৫%।
শুধু তাই নয়, কাহিল অর্থনীতিতে লগ্নিতে ভাটার টান স্পষ্ট করে জুনে ফের কমেছে কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি। দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে যার মাথা তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। জুনে মাত্র ১.২% বেড়েছে উৎপাদন শিল্প। যেখানে এক বছর আগের এই সময় তা ছিল ৬.৯%। শিল্প বৃদ্ধিকে টেনে নামিয়েছে খনন শিল্পও। সেখানে বৃদ্ধি নেমেছে গত বছরের ৬.৫% থেকে ১.৬ শতাংশে।
মাস শিল্প বৃদ্ধি
জানুয়ারি ১.৭ ফেব্রুয়ারি ০.২ মার্চ ২.৭ এপ্রিল ৪.৩ মে ৪.৬ জুন ২.০
সব হার শতাংশে
শিল্প বৃদ্ধি কমেছে ত্রৈমাসিকের হিসেবেও। এপ্রিল-জুনে তার হার ৩.৬%। আগের বছর যা ছিল ৫.১%।