প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছর মার্চ বা জুন ত্রৈমাসিকে ফের বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে দেশের অর্থনীতি। বুধবার এক ওয়েবিনারে এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের আংশিক সময়ের সদস্য নীলেশ শাহ বলেন, তবে এ জন্য আরও বেশি করে সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে কেন্দ্রকে। চেষ্টা করতে হবে সঙ্কটকে সুযোগে পরিণত করার।
এ দিকে আজই দেশের অর্থনীতি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর তোপ, ৪৫ বছরে সব চেয়ে চড়া বেকারত্ব, ইতিহাসে সর্বনিম্ন জিডিপি, চিনা আগ্রাসন, ১২ কোটি কাজ হারানো, বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড এবং রাজ্যগুলিকে জিএসটির প্রাপ্য না-দেওয়া আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই ব্যর্থতা।
করোনা যুঝতে হওয়া লকডাউনের কারণে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ২৩.৯% কমেছে। অথচ দেশের শেয়ার বাজারে সে ভাবে প্রভাব পড়েনি। নীলেশের মতে, বাজার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখে, অতীত পরিসংখ্যান নয়। অতীতে যেখানে লকডাউন রয়েছে, সেখানে ভবিষ্যতে সংস্কারের হাত ধরে অর্থনীতির এগোনোর সুযোগও রয়েছে। তারই আশায় ভর করে বাড়ছে সূচক।
তবে দেশে শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে চড়া বিদ্যুতের মাসুল, পণ্য পরিবহণের খরচের বাধার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, চিন থেকে সরতে চাওয়া সংস্থাগুলিকে ভারতে টেনে আনতে হলে এই সব বিষয়ে নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে।