Economic Growth

নামল আর্থিক বৃদ্ধির হার, শ্লথ পরিকাঠামো ক্ষেত্রও

মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আরবিআই লাগাতার সুদ বাড়িয়েছে। ফলে শিল্পের ঋণের খরচ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে আর্থিক বৃদ্ধি অতটা নেমেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বাড়তি সুদের ধাক্কায় কারখানার উৎপাদন কমল। তার ফলে জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার নামল ৬.৩ শতাংশে। গত বছর ওই সময় তা ছিল ৮.৪%। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে ছুঁয়েছিল ১৩.৫%।

Advertisement

মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আরবিআই লাগাতার সুদ বাড়িয়েছে। ফলে শিল্পের ঋণের খরচ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে আর্থিক বৃদ্ধি অতটা নেমেছে। যার প্রমাণ হল, সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির হার এপ্রিল-জুনের চেয়ে কমে যাওয়া। তাঁদের দাবি, করোনায় গত বছর এপ্রিল-জুনে জিডিপি-র বহর অনেকটাই কম ছিল। তার নিরিখে চলতি বছরের ওই তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার বেশি চড়া দেখিয়েছে। সেই নিচু ভিতের সুবিধা জুলাই-সেপ্টেম্বরে তেমন মেলেনি। দুই ত্রৈমাসিক মিলিয়ে অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে বৃদ্ধি ৯.৭%। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, মূল্যবৃদ্ধি ও সুদের ধাক্কায় শেষ ছ’মাসে তা আরও কমতে পারে।

আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট আজই কেন্দ্র প্রকাশিত পরিকাঠামো বৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। যা বলছে গত মাসে আটটি মূল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে ০.১%। ২০ মাসে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরে ছিল ৭.৮%। অশো‌ধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারের পণ্য, সিমেন্টের উৎপাদন কমেছে।

Advertisement

উপদেষ্টা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের বক্তব্য, ‘‘আর্থিক বৃদ্ধি মূলত কেনাকাটায় খরচের ফলে চাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু সুদের পিছনে খরচ ছাড়া রাজস্ব খাতে ব্যয় কমেছে।’’ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজই জানিয়েছেন, গত দু’বারের মতো আগামী বাজেটেও পরিকাঠামোয় খরচ বাড়াবেন। তাঁর দাবি, বেসরকারি লগ্নি আসার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের অভিযোগ, ‘‘লগ্নির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। নতুন বিনিয়োগের খিদে কম। আর্থিক বৃদ্ধির জন্য হয়তো এখন আরও বেশি লগ্নি করতে হচ্ছে।’’

আরবিআই বলেছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-মার্চে বৃদ্ধি দাঁড়াবে ৪.৬%। তবে প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেন, ‘‘এই সময়ে তা ৪.৫ শতাংশেরও কম হবে। তিন বছরে বার্ষিক বৃদ্ধি মাত্র ১.৮২%। ভারতের অর্থনীতি নতুন করে কম বৃদ্ধির ফাঁদে পড়ছে। বেশি দেরি হওয়ার আগে সমস্যা চিহ্নিত করে সংস্কার করুন।’’ কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের যদিও দাবি, এই অর্থবর্ষে ৬.৮%-৭% বৃদ্ধি ছোঁবে দেশ। কিন্তু চিদম্বরমের মতে, ‘‘অক্টোবর-ডিসেম্বরে জিডিপি অনেকটাই কমবে। দেশের বাইরের ও ভিতরের পরিস্থিতি তাকে টেনে নামাচ্ছে। হতাশার বিষয় কেন্দ্র বাইরের অবস্থা নিয়ে অসহায়। ভিতরের সমস্যা অস্বীকার করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement