ফাইল চিত্র।
আগামী আট বছরে ডিভিসি পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে তাপ এবং অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে ৩২,০০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নির পরিকল্পনা করেছে। যার প্রায় অর্ধেক হবে এই রাজ্যে। কয়লার পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানির বাজারে সব থেকে চর্চিত দূষণহীন গ্রিন হাইড্রোজ়েন উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে বিদ্যুৎ সংস্থাটির। সব ঠিকঠাক চললে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় প্রকল্পটি দু’তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার আশা ডিভিসি কর্তৃপক্ষের। পাইলট প্রকল্প সফল হলে গোড়ায় সেই হাইড্রোজ়েন সংস্থা নিজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে। পরে সংলগ্ন এলাকার শিল্পকে (বিশেষত ইস্পাত) তা বিক্রির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে।
সোমবার ডিভিসি-র চেয়ারম্যান রাম নরেশ সিংহ-সহ কর্তারা জানান, এখন সংস্থার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৬৯০১ মেগাওয়াট। ২০২৯-৩০ পর্যন্ত তারা ৩৭২০ মেগাওয়াটের একাধিক কেন্দ্র গড়বে চালু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্প্রসারণ করে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে দু’টি ৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রের উদ্বৃত্ত জমিতে দু’টি ৬৬০ মেগাওয়াটের ইউনিট গড়া হবে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে। খরচ আনুমানিক ৯০৮৯ কোটি টাকা। দুর্গাপুরের বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্প্রসারণে ৬৬০০ কোটি খরচে ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ কেন্দ্র চালুর লক্ষ্য ২০২৭-২৮ নাগাদ। ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে কোডারমার কেন্দ্রে আরও দু’টি। খরচ হবে ১২ হাজার কোটিরও বেশি।