উদ্বেগ: ভারতের পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে না তো! বহাল থাকবে তো এই ছবি? চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ফাইল চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইন ঘিরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে এ দেশের কিছু অঞ্চলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেশের পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা (ট্র্যাভেল অ্যাডভাইজ়রি) জারি করেছে কয়েকটি দেশ। সেই খবরে ব্যবসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে এ দেশের পর্যটন শিল্পের একাংশ। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ্রমণসূচি অদল বদলের জেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন কিছু পর্যটক। তার উপরে ওই সতর্কবার্তায় আসন্ন সফরের আগে বিদেশি পর্যটকদের অনেকেই সংশয় থেকে বাড়তি খোঁজখবর করছেন। যা এ দেশের পর্যটন ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব ফেলার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। অনেক পর্যটক ভিন দেশে সফরের জন্য বিমা করান। কিছু দেশের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের (আইএটিও) প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার ও অ্যাসোচ্যামের পর্যটন কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষ গয়াল মঙ্গলবার জানান, অ্যাডভাইজ়রি জারি হলে সংশ্লিষ্ট দেশে যাওয়ার জন্য বিমার সুযোগও মেলে না। সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ শীতের মরসুমে ভারতে আসেন বিদেশি পর্যটকেরা। ইতিমধ্যেই যাঁরা সফরের পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এখনও সফর বাতিল করেননি। কিন্তু তাঁদের অনেকেই ভারতের পরিস্থিতি সম্পর্কে যে ভাবে খোঁজখবর করছেন, তাতে স্পষ্ট যে তাঁরা কিছুটা চিন্তিত।
রাজ্যে আইএটিও-র প্রেসিডেন্ট দেবজিৎ দত্ত জানান, তাঁর বিদেশি সহযোগী পর্যটন ব্যবসায়ী এর পরের সফরগুলি ঠিক মতো হবে কি না, সে নিয়ে বারবার আশ্বস্ত হতে চাইছেন। তিনি আরও জানান, পরিবহণ ব্যবস্থার সমস্যার জন্য এ দেশে সফররত অস্ট্রেলিয়ার একটি পর্যটক দল কলকাতা থেকে গোপালনগর যাওয়ার যাত্রাসূচি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। অশান্তির জেরে সফরসূচি বা যাত্রাপথের বদল হলে একটা বিরূপ বার্তা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকেই। পর্যটন শিল্পের একাংশের বক্তব্য, যাঁরা এখনও ভ্রমণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেননি, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ করবে বলে আশা শিল্পের।