—প্রতীকী চিত্র।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসমান বৃষ্টিতে ধাক্কা খেয়েছে আনাজের ফলন ও সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে খাদ্যপণ্যের দাম তো বেড়েছেই, টোম্যাটো কার্যত হয়েছে আকাশছোঁয়া। বাজার সূত্রের খবর, বিকল্প হিসেবে চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে অপেক্ষাকৃত সস্তা টোম্যাটো পিউরির। সে হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে হোক বা হোক সাধারণ গৃহস্থের কাছে। পৌষ মাস পিউরি উৎপাদন সংস্থাগুলির।
ভারতের সব প্রান্তেই অন্যতম জনপ্রিয় আনাজ টোম্যাটো। যা আমিষ-নিরামিশ বহু রান্নারই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এপ্রিলেও কেজি প্রতি যা ছিল ২০-৩০ টাকা, তিন মাসের মধ্যে তার দাম অন্তত ৫০০% বেড়েছে। কলকাতার খুচরো বাজারে তা এখন ১৪০-১৫০ টাকা। এক সময়ে শহরে ২০০ টাকা ও দেশের কোনও কোনও জায়গায় ২৫০ টাকায় পৌঁছেছিল দাম। উল্টো দিকে ৮০০ গ্রামের এক টিন পিউরির দাম ১২০ টাকার মতো। মূল উপাদান টোম্যাটো পেস্ট এবং জল। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দোকানের তাকে রাখা মাত্র উবে যাচ্ছে পণ্যটি।
মাদার ডেয়ারির মুখপাত্রের দাবি, ১৫ দিনে পিউরির বিক্রি বেড়েছে ৩০০%। টাটা গোষ্ঠীর নেট বিপণি বিগবাস্কেটের সিনিয়র এগ্জ়িকিউটিভ সেতু কুমার জানান, যে সমস্ত ক্রেতা আগে এক কেজি টোম্যাটো কিনতেন তাঁরাই ৫০০ গ্রাম অর্ডার করছেন। পিউরির চাহিদা বেড়েছে ১৭৫%। অ্যামাজ়নে পণ্যটির চাহিদা বেড়েছে পাঁচ গুণ। অন্তত ৩০% বিক্রি বেড়েছে কেচাপের। ডাবর জানাচ্ছে, চাহিদা পূরণ করতে পিউরির উৎপাদন বাড়িয়েছে তারা। গুগ্লে ‘টোম্যাটো পিউরি’ এবং ‘কেজিতে পিউরির দাম’ সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজও বেড়েছে।