চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কৃষি ক্ষেত্রের আইনে সংস্কার ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে খরার প্রকোপে এখন চাষিদেরই মাথায় হাত। তাই শনিবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধান আলোচ্যসূচি হিসেবে উঠে আসছে সেই খরাই।
দু’দিন আগে মোদী সরকারেরই জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত দাবি করেছিলেন, দেশের কোথাও কোনও খরা নেই। কিন্তু আজ নীতি আয়োগ জানিয়েছে, খরা পরিস্থিতি ও তার জন্য রাজ্যগুলির কার কী সুরাহা প্রয়োজন, তা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে থাকছে। কেন্দ্র এখনও কোনও রাজ্যকে খরা কবলিত ঘোষণা করেনি। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান সরকার বেশ কয়েকটি জেলাকে খরা কবলিত বলে ঘোষণা করেছে। নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমার বলেন, ‘‘লাগাতার ছ’বছর বর্ষায় ঘাটতি চলছে। এমনটা আগে হয়নি। ফলে জলের সঙ্কটে নজর দিতেই হবে।’’
নীতি আয়োগের বৈঠকে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। মমতা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিলেও, নীতি আয়োগের কর্তারা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ রাজীব বলেন, ‘‘আমি আজও ওঁর দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেন।’’
ছত্তীসগঢ়-মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকায় সম্প্রতি মাওবাদীরা ফের হামলা চালিয়েছে। মাওবাদী সমস্যা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মোদী। সে কারণে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে ডাকা হয়েছে। মাওবাদী সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের লক্ষ্যে দেশের পিছিয়ে পড়া ১০০টি জেলার উন্নয়নের কর্মসূচিতে হাত দিয়েছিল মোদী সরকার। তারও পর্যালোচনা হবে।