প্রতীকী ছবি।
গ্রাহকদের অভিযোগ, অন্যরা বহু আগে ৪জি সংযোগ আনলেও বিএসএনএল পারেনি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কেন্দ্রের কাছে দ্রুত ৪জি চালুর জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির কর্মীরাও। এ বার সেই পরিষেবা পেতেই আরও দেরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল।
গত অক্টোবরে বিএসএনএল ও এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের পাশাপাশি তাদের ৪জি পরিষেবা চালুর জন্য স্পেকট্রাম দেওয়ারও আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। সে জন্য যন্ত্রাংশের বরাত দিতে সম্প্রতি প্রায় ৯০০০ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক দরপত্র চেয়েছে বিএসএনএল। কিন্তু সরকারেরই এক সংস্থা টেলিকম ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস প্রোমোশন কাউন্সিলের অভিযোগ, দরপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সব শর্ত বাঁধা হয়েছে, তাতে দেশীয় সংস্থাকে বঞ্চিত করে বিদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা স্পষ্ট। তাদের দাবি, সরকারি অর্থের প্রকল্পে দেশীয় যন্ত্রাংশ সংস্থাকে প্রাধান্য দেওয়ার সরকারি নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর। টেলিকম দফতরকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছে। তা সত্যি হলে ব্যবস্থা নিতে বলেছে অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে।
বিএসএনএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন অবশ্য এর পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, আগেও পরিকাঠামো উন্নয়নে বারবার বাধা তৈরি করায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে সংস্থাটি।
ক্ষুব্ধ কর্মীরা বলছেন, এয়ারটেল, রিলায়্যান্স জিয়ো, ভোডাফোন আইডিয়ার মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রাংশ এনেই ভারতে পরিষেবা দিচ্ছে। অথচ দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিএসএনএল-কে যন্ত্রাংশ জোগানের বরাত বিদেশি সংস্থা পেলে জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ৪জি পরিকাঠামো তৈরির যন্ত্রাংশ সংস্থাটি তো নিজের অর্থ থেকেই কিনছে, রাজকোষের টাকায় নয়।