আরও বাড়ল ডিজেলের দাম। ফাইল চিত্র ।
উৎসবের মরসুমের মুখে নতুন করে মাথা তুলছে ডিজ়েলের দর। ফলে বাড়ছে আশঙ্কা। এক দিন স্থির থাকার পরে আজ, রবিবার ফের পেট্রোপণ্যটির দর বাড়ল। কলকাতায় লিটার প্রতি তার দাম পার করল ৯২ টাকা। পেট্রল স্থির থাকলেও তা এতটাই চড়া যে, স্বস্তি দিতে পারছে না দর অপরিবর্তিত থাকার খবরও।
সার্বিক ভাবে বাণিজ্যিক গাড়ি চলে ডিজ়েলে। গণপরিবহণ ও পণ্য পরিবহণে যুক্ত বাণিজ্যিক গাড়ির জ্বালানির খরচ বাড়লে তার আঁচ পড়ে বৃহত্তর সমাজেও। পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়লে আশঙ্কা থাকে মূল্যবৃদ্ধির হারও চড়ার। সেই আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের দামি হল ডিজ়েল। আজ কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে এক লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৯২.১৭ টাকায়। শনিবারের চেয়ে সেটির দর বেড়েছে ২৫ পয়সা। পেট্রলের দর একই, ১০১.৬২ টাকা।
করোনার মধ্যেই তেলের দরের বিপুল উত্থানে নাজেহাল আমজনতা। পেট্রলের দর দেশের অর্ধেকেরও বেশি জায়গায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। সর্বকালীন নজির গড়েছে ডিজ়েলও। বিরোধীদের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর (ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুড ৭৮ ডলার ছাড়িয়েছে) বা পেট্রল-ডিজ়েলের দর বাড়লে দেশেও তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু সেগুলির দাম কমলে তার যথাযথ প্রতিফলন দেখা যায় না। উপরন্তু গত সাত বছরে তেলের উৎপাদন শুল্ক বিপুল হারে বাড়িয়ে রাজকোষ ভরিয়েছে কেন্দ্র। তা ছাঁটাইয়ের আর্জিতেও কান দেয়নি মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাল্টা দাবি, তেলের দাম বৃদ্ধির সুফল পেয়েছে রাজ্যগুলিও। যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) বাবদ তাদের আয়ও বেড়েছে।
এই তরজার মধ্যেই পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় আনার আলোচনা সম্প্রতি জিএসটি পরিষদের বৈঠকে উঠলেও শেষ পর্যন্ত ঐকমত তৈরি হয়নি। ফলে তেলের দরে সুরাহার বদলে দুশ্চিন্তাই এখনও সঙ্গী দেশবাসীর।