ফাইল চিত্র।
প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখ থেকে ফিরে বর্ধমানের পানাগড় শিল্প তালুকে দ্বিতীয়বার সার কারখানা চালু করেছে ম্যাটিক্স ফার্টিলাইজ়ার। সেই পানাগড়েই শিল্পের জন্য আগে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের অধিগৃহীত জমিতে চা বা খাবারের মতো বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের প্যাকেটের উপাদান (পলি-ফিল্ম) তৈরির কারখানা গড়ছে ধানসেরি গোষ্ঠী। বুধবার কারখানাটির শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধানসেরি গোষ্ঠী জানিয়েছে, তিন পর্যায়ে ১২৫০ কোটি টাকা লগ্নি হবে সেখানে। পেট্রোকেমিক্যাল, চা ও অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এই নতুন ব্যবসা মিলিয়ে সার্বিক ভাবে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে তারা।
ধানসেরি গোষ্ঠীর এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান তথা প্রোমোটার চন্দ্রকুমার ধানুকা জানান, প্রথম পর্যায়ে পানাগড়ের কারখানায় ৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন তাঁরা। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন চালু হবে। ২০২৪-২৫ সালে দ্বিতীয় এবং ২০২৫-২৬ সালে শুরু হবে শেষ পর্যায়ের উৎপাদন। তখন প্রত্যক্ষ ভাবে ৫০০ এবং পরোক্ষে ১০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে তাঁদের দাবি। ২০০ জনের কাজের সুযোগ মিলবে প্রথম পর্যায়েই। কারখানাটি তৈরি হয়ে গেলে বছরে ব্যবসার অঙ্ক ১৫০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়াল লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ধানুকা জানান, গেল-এর পাইপলাইনের মাধ্যমে রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ চালু হলে কয়লার পাশাপাশি, জ্বালানি হিসেবে সেই গ্যাস ব্যবহারের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে কারখানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের পরেও ম্যাটিক্সের লগ্নির প্রস্তাব পেয়ে পানাগড়ে ওই শিল্প তালুক গড়তে প্রায় ১৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে নিগম। পরে অবশ্য তৃণমূল সরকার শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ না-করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। তবে ধানসেরিকে নিগমের শিল্প তালুকেই এ বছরের গোড়ায় ৩৮ একর জমি দেওয়া হয়। ধানুকা জানান, অদূর ভবিষ্যতে কারখানার উৎপাদিত পণ্যের ২০%-২৫% রফতানিও করতে চায়
ধানসেরি গোষ্ঠী।