ফাইল চিত্র।
বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাব পড়তে পারে বলে শুক্রবারই সতর্ক করেছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্ণধার ডেভিড মালপাস। আর শনিবার একই কথা জানিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথের বক্তব্য, এর জেরে জ্বালানি ও খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির হাত ধরে বাড়বে বিভিন্ন দেশে জীবনযাপনের খরচ। যা সমস্যায় ফেলবে বিশেষত আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলিকে।
গত দু’বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়ছে সব দেশ। তা রুখতে হওয়া লকডাউন বিশ্ব অর্থনীতিকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আশঙ্কা বাড়ছে বৈষম্যের। এ বার শুরু হয়েছে যুদ্ধ। যা আগামী দিনে আরও দেশে ছড়াবে কি না, সেই উদ্বেগও রয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, ইউক্রেনে বিশ্বের প্রায় ২৯% গম উৎপাদন হয়। সূর্যমুখী তেলের মতো ভোজ্য তেলের ৬০ শতাংশই আসে এখান থেকে। ফলে এই ধরনের পণ্যের উৎপাদন কমার জেরে সেগুলির দাম বাড়বে।
গীতার মতে, উন্নয়নশীল দেশে শুধু জ্বালানি ও খাদ্যের চাহিদা বেশি তা-ই নয়, এর পিছনে খরচও বেশি। যেমন, পৃথিবীতে গড়ে চাহিদার ৩০% হল জ্বালানি ও খাদ্য। সেখানে আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষেত্রে তা ৫০%। তার অনেকটাই আমদানি করতে হয়। আবার উন্নত দেশগুলিতে মোট খরচের ১০% হয় এই দুইয়ের পিছনে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে তা ২৫% এবং কম আয়ের দেশগুলিতে ৫০%। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ থেকে বোঝা যাচ্ছে ওই দুই ক্ষেত্রে পণ্যের দাম যত বাড়বে, তত সমস্যায় পড়বেন মানুষ।