প্রতীকী ছবি।
মোবাইল পরিষেবার মান বাড়ানোর রাস্তা সহজ করল টেলিকম কমিশন।
এখন পরিষেবার মান নিয়ে এক পক্ষ দোষ দেন টেলিকম সংস্থাগুলিকে। অপর পক্ষে সংস্থাগুলির পাল্টা দাবি, অপ্রতুল স্পেকট্রামই সুষ্ঠু পরিষেবার পথে বাধা। কিছুটা হলেও, এ বার সেই সমস্যা সমাধানের রাস্তা বাতলাল কমিশন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাইয়ের সুপারিশ মেনে তারাও মঙ্গলবার সংস্থাগুলির স্পেকট্রাম হাতে রাখার সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর পক্ষেই রায় দিল। একটি এলাকায় সেই সীমা এখনকার ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৩৫% করতে বলেছে তারা।
বর্তমান নিয়মে, একটি এলাকায় ২৫ শতাংশের বেশি ও একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের ব্যান্ডে ৫০ শতাংশের বেশি স্পেকট্রাম রাখতে পারে না কোনও সংস্থা। শিল্পের অভিযোগ, ২৫% ঊর্ধ্বসীমার নিয়ম মানলে মোবাইলে সিগনাল পাঠানোর মূল মাধ্যম স্পেকট্রাম প্রয়োজনের চেয়ে কমই থাকে হাতে। এ ছাড়া, আগে ১২-১৪টি সংস্থা থাকায় স্পেকট্রাম বরাদ্দ কম হত। কেউ ব্যবসা ছেড়ে বেরোতে চাইলে সমস্যায় পড়ত। কারণ তাদের স্পেকট্রাম অন্য সংস্থা পেত না ঊর্ধ্বসীমার মাপকাঠি মানতে গিয়ে। ট্রাইও তাই সীমা তোলার সুপারিশ করেছিল।
টেলিযোগাযোগ দফতরের মাথায় থাকা টেলিকম কমিশন স্পেকট্রামের ঊর্ধ্বসীমা ও ট্রাইয়ের সুপারিশ নিয়ে বৈঠকে বসেছিল এ দিন। অনেকেই মনে করছেন, তারাও সীমা বাড়ানোর পক্ষে রায় দেওয়ায় রুগ্ণ সংস্থাগুলির ব্যবসা ছেড়ে যাওয়া সহজ হবে। স্পেকট্রাম কিনতে সুবিধা হবে ব্যবসা চালাতে আগ্রহীদের। কেন্দ্র স্পেকট্রাম নিলাম করলে সহজ হবে তা কেনাও।
কমিশনের সিদ্ধান্তে খুশি টেলিকম শিল্প। তাদের সংগঠন সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে এই শিল্পে সংযুক্তি ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ হবে।’’ ভোডাফোনের দাবি, এটি কার্যকর হলে গ্রাহক, সরকার, শিল্প, সকলেরই সুবিধা হবে।
কমিশনের অন্যান্য রায়ের মধ্যে আছে, আন্তঃ-মন্ত্রক গোষ্ঠীর সুপারিশ মেনে টেলি শিল্পের জন্য ত্রাণ প্রকল্পে ছাড়। স্পেকট্রাম খাতে সরকারের পাওনা মেটানোর সময়সীমা ১০ বছরের বদলে ১৬ বছর করা। মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ মেনে জরিমানার উপর সুদ কমিয়ে ২% করা।