Department of Telecommunications

টেলি পরিকাঠামোকে আয়ের সূত্র না-ভাবতে রাজ্যকে আর্জি ডটের

টাইপা-র ডিজি টি আর দুয়ার দাবি, সহজে পরিকাঠামো গড়তে কেন্দ্র যে ২০১৬-তে ‘রাইট অব ওয়ে’ নীতি তৈরি করেছে, তা সর্বত্র কার্যকর হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ০৬:১৬
Share:

— ছবি সংগৃহীত

টেলি পরিষেবার মান নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে গ্রাহকদের মধ্যে। ওঠে উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণে টেলিকম সংস্থাগুলির খামতির অভিযোগও। টেলি-পরিকাঠামো শিল্পের যদিও পাল্টা দাবি, সেই পরিকাঠামো তৈরি করতে গিয়ে রাজ্য ও স্থানীয় পুরসভা স্তরে নানা বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। চাওয়া হয় এক এক জায়গায় এক এক হারে বিপুল ফি। ফলে সমস্যায় পড়ে তারা। সেই দাবিই এ বার উঠে এল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের (ডট) কর্তার কথাতেও। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দফতরের যুগ্মসচিব হরিরঞ্জন রাও-এর বক্তব্য, এ ভাবে রাজস্ব ভরাতে গিয়ে বড় ভুল করছে রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাগুলি। টেলি-পরিকাঠামো গড়লে যে আখেরে সকলেরই সুবিধা হবে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

টেলি পরিকাঠামো শিল্পের সংগঠন টাইপা-র ডিজি টি আর দুয়ার দাবি, সহজে পরিকাঠামো গড়তে কেন্দ্র যে ২০১৬-তে ‘রাইট অব ওয়ে’ (আরওডব্লিউ) নীতি তৈরি করেছে, তা সর্বত্র কার্যকর হয়নি। নীতি ও সরকারি ফি-র তারতম্যের জেরে টাওয়ার ও অপটিক্যাল ফাইবার পাতার কাজ ব্যাহত হয়। তার উপরে এখন অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের টেলি পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। বহর বেড়েছে বাড়ি থেকে কাজ এবং পড়াশোনারও। ফলে সেই হারে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়া অত্যন্ত জরুরি। দরকার ওই নীতির সঠিক রূপায়ণ। কিন্তু তা ঠিকমতো কার্যকর না-হওয়ায় পরিকাঠামো নির্মাণ বাধা পাচ্ছে।

ওই আইনের মূল উদ্দেশ্যের প্রতিফলন যে বেশ কিছু রাজ্যে দেখা যাচ্ছে না, সে কথা মানছেন রাও-ও। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় পুরসভা, শহর কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারগুলির অনেকে টেলিকম পরিকাঠামোকে তাদের আয়ের সূত্র হিসেবে দেখে। এটা করে মনে হয় তারা বড় ভুল করছে। এটা (পরিকাঠামো) যে তাদের উপকারই করবে, সে কথা তাদের বোঝাতে হয়তো ব্যর্থ হয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement