প্রতীকী চিত্র।
প্রথম দফার সংক্রমণের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে এ বছরের গোড়া থেকে সবেমাত্র বাড়তে শুরু করেছিল ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতোই ফের মুখ থুবড়ে পড়ে আবাসন। এক সমীক্ষায় প্রকাশ, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের তুলনায় এপ্রিল-জুনে কলকাতা সমেত দেশের সাত শহরে চাহিদা এতটাই শুকিয়ে গিয়েছে যে, সব মিলিয়ে বিক্রি কমেছে ২৩%।
বিক্রি যে কমবে, সেই আশঙ্কা অবশ্য ছিলই। সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্য ওই সময়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়। গত বছরের মতো দেশব্যাপী দীর্ঘ লকডাউন ঘোষণা না-হলেও, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে কড়া নিয়মের জেরে ফের উধাও হয় ঘুরে দাঁড়াতে থাকা চাহিদা। আবাসন শিল্পের দাবি, জানুয়ারি-মার্চে বিক্রি বাড়লেও নতুন অর্থবর্ষের গোড়ায় যে তা আবার কমতে চলেছে তার ইঙ্গিত ছিলই। উদ্বেগ বাড়ছিল ধাক্কা কতটা জোরালো হবে, সেই প্রশ্নে।
আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা জেএলএল ইন্ডিয়া ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি নিয়ে সমীক্ষা চালায় কলকাতা, দিল্লি-এনসিআর, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং পুণে-তে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাসে মোট ১৯,৬৩৫টি আবাসন বিক্রি হয়েছে। তার আগের তিন মাসে হয়েছিল ২৫,৫৮৩টি। এপ্রিল-জুনে কলকাতায় বিক্রি কমেছে ৫৬%, দিল্লি-এনসিআরে ৫৫%, চেন্নাইতে ৮১%। হায়দরাবাদে প্রায় ৬৫০ আবাসন কম বিক্রি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে অবশ্য বেড়েছে প্রায় ৪৭%। মুম্বইতেও বিক্রি বেড়েছে, তবে নামমাত্র।
গত বছর এপ্রিল-জুনে দেশ লকডাউনে ঘরবন্দি থাকায় ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা কার্যত তলানিতে ঠেকে। ফলে সেই সময়ের তুলনায় এ বারের এপ্রিল-জুনের হিসেব অবশ্য আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। নিচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ওই সাত শহরে বিক্রি বেড়েছে ৮৩%। জেএলএলের আশা, দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে এ বার ফের বাড়বে বিক্রি। শুধু তা-ই নয়, বাড়ি থেকে কাজের হার বৃদ্ধি আবাসনের চাহিদা তৈরিতে অনুঘটকের কাজ করবে বলেও মনে করছে তারা।