দেশবাসীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নথির সঙ্গে আধার নম্বরকে যুক্ত করার আর্জির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল ছবি।
দেশবাসীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নথির সঙ্গে তাঁদের আধার নম্বরকে যুক্ত করার আর্জির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্ট। আবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্নীতি, কালো টাকা এবং ‘বেনামি’ লেনদেন আটকাতে এই পদক্ষেপ জরুরি।
সম্পত্তির সঙ্গে আধার যোগের যুক্তি হিসাবে দাবি করা হয়, বেশি অঙ্কের টাকায় বেনামি লেনদেনের অর্থ সন্ত্রাসবাদ, জুয়া, অর্থপাচারের মতো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বেনামি লেনদেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি আবাসন-সোনার মতো সম্পদেরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। সম্পত্তির সঙ্গে সম্পত্তির অধিকারীর আধার সংযুক্ত করলে, এই সব সমস্যা কমানো সম্ভব হবে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বে়ঞ্চ অর্থ, আইন, আবাসন ও নগরোন্নয়ন এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে বক্তব্য জানাতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। মৌখিক ভাবে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটি ভাল বিষয়। প্রতিক্রিয়া আসুক।’’
এই মামলার আবেদনকারী এবং আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের বক্তব্য, দুর্নীতি রোধে যথাযথ পদক্ষেপ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। বেআইনি ভাবে সংগ্রহ করা বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্র কড়া বার্তা দেওয়া উচিত যে, তারা দুর্নীতি ও কালো টাকাকে রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর আরও দাবি, যদি কেন্দ্র সমস্ত সম্পত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার নম্বরকে যুক্ত করে, তা হলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২% বাড়বে। সেই সঙ্গে যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অবজ্ঞা করে কালো টাকা এবং বেনামি লেনদেনের আধিপত্য থাকে, বিপুল কালো টাকা লগ্নির চক্র মাথাচাড়া দেয় ও বেসরকারি সম্পত্তি জড়ো করতে রাজনৈতিক শক্তির ব্যবহার ঘটে, তা স্বচ্ছ হবে।