রাজস্ব আদায় কমতে পারে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য রাজকোষ ঘাটতি মাত্রাছাড়া হবে না বলেই মনে করছে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার সমীক্ষা। তাদের দাবি, ২০০৯-’১০ আর্থিক বছরের পরে এই প্রথম বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য ছোঁয়া আর মূলধনী লগ্নি ছাঁটাইয়ের দৌলতে ওই ঘাটতিকে বেঁধে রাখা যাবে ৩.২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করতে গিয়ে ঘাটতি যাতে মাত্রাছাড়া না-হয়, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। একই কথা বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। বিভিন্ন মহলে হালে আশঙ্কাও শোনা গিয়েছে যে, এ বার রাজকোষ ঘাটতি জিডিপি-র ৩.২ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারবে না কেন্দ্র। কিন্তু দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের গবেষণা বিভাগ হিসেবে দেখিয়েছে যে, সেই সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
তাদের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে বাজেটের তুলনায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকা কম আসতে পারে কোষা-গারে। পেট্রোল-ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই, জিএসটি-তে টাকা ফেরানো ইত্যাদি কারণে কর আদায় হতে পারে প্রায় ৭৭ হাজার কোটি কম। আর মূলত স্পেকট্রাম নিলামে প্রত্যাশিত দর না-ওঠায় রোজগার কমতে পারে ৩৮ হাজার কোটি মতো। কিন্তু তেমনই ঘাটতির অনেকটাই বিলগ্নিকরণ পূরণ করবে তাদের দাবি।
স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাজেটে বিলগ্নিকরণ থেকে ৭২,৫০০ কোটি ঘরে তোলার কথা বলেছিল কেন্দ্র। দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে ৬০ হাজার কোটির বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে তারা। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বেচে ১৯,৭৫৯ কোটি হাতে এসেছে। এইচপিসিএল-কে ওএনজিসি হাতে নেওয়ায় আসবে ৩০ হাজার কোটি। আরও ১০,৬৬২ কোটি মিলবে জিআইসি-র শেয়ার থেকে। এর পরেও রয়েছে এইচএসসিসি, এনপিসিসি-র মতো কয়েকটি সংস্থার শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা। সব মিলিয়ে, কেন্দ্র এ বার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁবে বলেই তাদের মত।
তার সঙ্গে, মূলধনী খরচ ৭০ হাজার কোটি পর্যন্ত ছাঁটতে পারে কেন্দ্র। ৩৮ হাজার কোটি কমতে পারে নানা খাতে রাজস্ব বরাদ্দও। ফলে ঘাটতি মাত্রাছাড়াবে না বলেই সমীক্ষায় দাবি।