আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের কাছে পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনার ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের (ডট) ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স কমিশন (ডিসিসি)। কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য পেলে আয় যে বাড়বেই, সংস্থা দু’টির কাছে তারও নিশ্চিত আশ্বাস দাবি করেছে তারা।
মাসুল যুদ্ধের জেরে বহু দিন ধরে আয় কমছে দুই সংস্থার। প্রশ্নের মুখে পরিষেবার মানও। তবে সংস্থার কর্মী-অফিসারদের বড় অংশ কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাদের বাড়ি, জমি, কেব্ল টাওয়ারের মতো সম্পত্তি হস্তান্তর করেনি কেন্দ্র। মেলেনি ঋণ পেতে সাহায্যও। প্রতিবাদে গত সোমবার থেকে বুধবার ধর্মঘট ডাকেন ওই কর্মী-অফিসারেরা।
অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএলের রাজ্যের আহ্বায়ক অনিমেষ মিত্রের দাবি, কেন্দ্র পদক্ষেপ না করায় এই সঙ্কট। তিনি বলেন, ‘‘বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, ডট পুনরুজ্জীবন প্রকল্প চূড়ান্ত করার পথে। ডিসিসি তা শীঘ্রই বিবেচনা করবে। ফলে সব মিলিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।’’
জবাব তলব
• টেলিকম দফতরের (ডট) কমিশন জানতে চায় কোন পথে হেঁটে ঘুরে দাঁড়াবে বিএসএনএল? হাল ফিরবে কত দিনে?
• আয় যে বাড়বেই, তা কি নিশ্চিত করে বলতে পারবে সংস্থা?
পাল্টা দাবি
• বিএসএনএলের কর্মী-অফিসারদের পাল্টা অভিযোগ, বরাবর কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার সংস্থাটি।
• বেসরকারি সংস্থা যখন মোবাইল পরিষেবা চালু করে, তখন বিএসএনএলের সেই ছাড়পত্র পেতে লেগে গিয়েছিল কয়েক বছর!
• বেসরকারি সংস্থাগুলি চুটিয়ে ৪জি পরিষেবার ব্যবসা করছে। স্পেকট্রাম পায়নি বিএসএনএলই!
কেন্দ্র পাশে দাঁড়ালে সংস্থা ঘুরে দাঁড়াবে দাবি করে অনিমেষবাবু বলেন, ‘‘৪জি স্পেকট্রাম ও সম্পত্তি হস্তান্তরের মতো পদক্ষেপ করলে তা সম্ভব। আয় বাড়াতে সেই সব দাবি জানিয়েছি।’’