ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ।
নিজস্ব লেনদেন পরিকাঠামো ‘সি-স্টার’ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) সংস্থাগুলির শেয়ার লেনদেনের জন্য একটি এক্সচেঞ্জ খোলার পরিকল্পনা করেছে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। কর্তৃপক্ষের দাবি, এর পাশাপাশি ওই সব সংস্থাকে ব্যবসায় সহায়তা দিতে একটি কেন্দ্র খুলবেন তাঁরা। পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের ছোট-মাঝারি স্টার্ট আপ সংস্থাকে ব্যবসা শুরুর ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশেষ কেন্দ্র খোলারও।
রবিবার মুরত লেনদেনের দিন সিএসই-র সিইও ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহু দিন ধরে এমএসএমই স্টক এক্সচেঞ্জ খোলার পরিকল্পনা আছে। শীঘ্রই ওই প্রস্তাব শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির কাছে পাঠাব অনুমোদনের জন্য।’’
সিএসই-র ‘সি স্টারে’ সেবির নির্দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই লেনদেন বন্ধ। তাই সেবির অনুমতিতে সিকিউরিটিজ কনট্রাক্ট রেগুলেশন আইনের ১৩ ধারায় সিএসই-র ব্রোকাররা এখন এনএসই এবং বিএসইতে লেনদেন করছেন। এ ব্যাপারে সিএসই-র সঙ্গে দুই এক্সচেঞ্জেরই চুক্তি হয়েছে। সূত্রের দাবি, কলকাতার ওই স্টক এক্সচেঞ্জে বর্তমানে লেনদেনের অঙ্ক দিনে ২৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সিএসই-র ব্রোকার বিধান দুগার বলেন, ‘‘সি-স্টারে লেনদেন বন্ধ হওয়ায় একটা সময়ে চিন্তায় পড়েছিলাম। কিন্তু এনএসই-বিএসইতে লেনদেন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এখন সেই সমস্যা নেই।’’
ব্রোকারদের তেমন সমস্যা না থাকলেও, সিএসইকে চাঙ্গা করতে একাধিক পরিকল্পনার কথা ভাবছেন ভাস্করবাবু। তিনি বলেন, ‘‘যে সব রাজ্যে ছোট-মাঝারি সংস্থা বেশি, তার অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। তাই এখানে তাদের স্টক এক্সচেঞ্জ হলে সংস্থাগুলির পক্ষে মূলধন সংগ্রহ সহজ হবে। ব্যবসার পরিকল্পনা কী ভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, সে ব্যাপারে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করব।’’