Credit Rating

বাড়ছে রেটিং কমার আশঙ্কা

করোনার মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু থাকা নিয়ে চিন্তা বাড়ায় বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করছে একের পর এক মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আগামী দিনে ভারত নিজেদের লগ্নিযোগ্যতার রেটিং (ক্রেডিং রেটিং) আদৌ ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়েও। বিশেষত, অতিমারি যুঝতে বর্তমানে কেন্দ্রকে বেশি করে ধার করতে হচ্ছে। এতটাই যে, তার অনুপাত জিডিপি-র ৯০% ছুঁতে পারে বলে জানাচ্ছে অনেকে। এই অবস্থায় ফিচ, মুডি’জ় এবং এসঅ্যান্ডপি-র মতো রেটিং সংস্থাগুলি ভারতকে ঋণ দেওয়া ঝুঁকির বুঝে মূল্যায়ন কমাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। উপদেষ্টা সংস্থা ইউবিএসের মতে, বড় উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পরেই। সরকারি ঋণকে স্থিতিশীল করতে হলে দেশকে অন্তত একবার ১০% হারে বৃদ্ধির মুখ দেখতে হবে। যা কি না ১৯৮৮ সালের পর থেকে হয়নি। ফলে রেটিং কমানোর সম্ভাবনা খুবই জোরালো বলে জানাচ্ছেন সংস্থার সম্ভাবনাময় দেশ সংক্রান্ত বিভাগের কর্তা মানিক নারায়ণ। তাঁর মতে, এখন দেখতে হবে সেটা কবে করা হচ্ছে। একই মত এনএন ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার্সের এশিয়ায় ঋণ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান জোয়েপ হান্টজেন্সের। তিনি বলছেন, এখনও ভারতকে লগ্নিযোগ্য হিসেবে দেখা হলেও, পরের বছর রেটিং কমার ৫০% সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে কর্পোরেট সংস্থাগুলির উপরে। জেপি মর্গ্যানেরও মতে, অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তা জেনেও মূল্যায়ন সংস্থাগুলি রেটিং কমানো আপাতত স্থগিত রেখেছে। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ের মধ্যে গত বছরই এক দফা ভারত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি কমিয়েছে একাধিক মূল্যায়ন সংস্থা। তখন অভিযোগ উঠেছিল, রাজকোষ ঘাটতি বাড়লে তারা দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব নেবে, তাই সরকারি খরচ বাড়াচ্ছে না কেন্দ্র। যদিও আর্থিক সমীক্ষায় মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য ছিল, রেটিং এজেন্সিগুলিকে নিয়ে মাথা ঘামানোরই দরকার নেই। কারণ, তারা অর্থনীতির ভিত সম্পর্কে ঠিক ধারণা করতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশও এর সঙ্গে একমত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ০৭:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু থাকা নিয়ে চিন্তা বাড়ায় বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করছে একের পর এক মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আগামী দিনে ভারত নিজেদের লগ্নিযোগ্যতার রেটিং (ক্রেডিং রেটিং) আদৌ ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়েও। বিশেষত, অতিমারি যুঝতে বর্তমানে কেন্দ্রকে বেশি করে ধার করতে হচ্ছে। এতটাই যে, তার অনুপাত জিডিপি-র ৯০% ছুঁতে পারে বলে জানাচ্ছে অনেকে। এই অবস্থায় ফিচ, মুডি’জ় এবং এসঅ্যান্ডপি-র মতো রেটিং সংস্থাগুলি ভারতকে ঋণ দেওয়া ঝুঁকির বুঝে মূল্যায়ন কমাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

উপদেষ্টা সংস্থা ইউবিএসের মতে, বড় উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পরেই। সরকারি ঋণকে স্থিতিশীল করতে হলে দেশকে অন্তত একবার ১০% হারে বৃদ্ধির মুখ দেখতে হবে। যা কি না ১৯৮৮ সালের পর থেকে হয়নি। ফলে রেটিং কমানোর সম্ভাবনা খুবই জোরালো বলে জানাচ্ছেন সংস্থার সম্ভাবনাময় দেশ সংক্রান্ত বিভাগের কর্তা মানিক নারায়ণ। তাঁর মতে, এখন দেখতে হবে সেটা কবে করা হচ্ছে।

একই মত এনএন ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার্সের এশিয়ায় ঋণ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান জোয়েপ হান্টজেন্সের। তিনি বলছেন, এখনও ভারতকে লগ্নিযোগ্য হিসেবে দেখা হলেও, পরের বছর রেটিং কমার ৫০% সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে কর্পোরেট সংস্থাগুলির উপরে। জেপি মর্গ্যানেরও মতে, অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তা জেনেও মূল্যায়ন সংস্থাগুলি রেটিং কমানো আপাতত স্থগিত রেখেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ের মধ্যে গত বছরই এক দফা ভারত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি কমিয়েছে একাধিক মূল্যায়ন সংস্থা। তখন অভিযোগ উঠেছিল, রাজকোষ ঘাটতি বাড়লে তারা দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব নেবে, তাই সরকারি খরচ বাড়াচ্ছে না কেন্দ্র। যদিও আর্থিক সমীক্ষায় মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য ছিল, রেটিং এজেন্সিগুলিকে নিয়ে মাথা ঘামানোরই দরকার নেই। কারণ, তারা অর্থনীতির ভিত সম্পর্কে ঠিক ধারণা করতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশও এর সঙ্গে একমত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement