প্রতীকী ছবি।
জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলির তিন দিনের ভিডিয়ো সম্মেলন শুরু হবে ১১ জুন। যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সম্মেলনে অগ্রাধিকার পাবে বিশ্ব জুড়ে অতিমারির আবহে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি। এ নিয়ে ভারত নিজের ভূমিকা কী ভাবে উন্নত দেশগুলির সামনে তুলে ধরবে, তা বিদেশনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বৈঠক অন্য মাত্রা পাচ্ছে গত সপ্তাহে জি-৭ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে নেওয়া এক সিদ্ধান্তে। যেখানে বহুজাতিক সংস্থাগুলির কর্পোরেট করের ন্যূনতম হার ঠিক হয়েছে ১৫%। এই সিদ্ধান্ত গোষ্ঠীর বাইরের দেশগুলির করনীতি তৈরির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
সূত্রের বক্তব্য, এর আওতায় আসবে অ্যামাজ়ন, গুগ্লের মতো সংস্থাও। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বিভিন্ন দেশের সরকারের কোষাগারে মোটা অঙ্ক ঢুকবে, যা অতিমারি মোকাবিলায় কাজে আসবে। জি-৭ ছাড়া অন্যান্য দেশও যাতে এই পথে হাঁটে, সে জন্য তাদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা হবে। আগামী মাসে জি ২০ দেশগুলির বৈঠকেই এ নিয়ে কথা হতে পারে। সাধারণত, বহুজাতিক সংস্থাগুলি যে সব দেশে কর তুলনায় কম, সেখানে শাখা খোলার পথে হাঁটে। যাতে তাদের শুধু স্থানীয় হারে কর দিয়েই চলে। জি-৭ দেশগুলি চাইছে, প্রথমত, বিশ্বে এ ধরনের সংস্থার জন্য একটি ন্যূনতম করের হার স্থির হোক। দ্বিতীয়ত, সংস্থাগুলি যে দেশে পণ্য বা পরিষেবা বেচবে, সেখানেই কর দিতে হবে। এতে সরাসরি ভারতের লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ধারণা।