ছোট অর্থনীতির দেশগুলি নিয়ে চিন্তায় রাষ্ট্রপুঞ্জ।
করোনা ঝড়ে দিশাহারা সারা পৃথিবী। কিন্তু এর মধ্যে আর্থিক ভাবে দুর্বল দেশগুলির সমস্যা আরও বেশি বলে মনে করে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
প্রায় ৬০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্যে তৈরি রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার আক্রমণ পুরো বিশ্বের মতো এই দেশগুলির আর্থিক অবস্থাকেও ওলটপালট করে দিয়েছে। যেখানে থাকেন পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু এই দেশগুলির বাড়তি সমস্যা হল কাঁধে চেপে বসা বিপুল ঋণের বোঝা। এই জোড়া সমস্যার মুখে পড়া দেশগুলির অর্থনীতিতে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে ঋণ শোধ আপাতত স্থগিত রাখার সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। দিয়েছে তাদের সাহায্য করতে শক্তিশালী তহবিল তৈরির সুপারিশও। ইতিমধ্যে অবশ্য উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য এক দফা তহবিল মঞ্জুর করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।
সারা বিশ্বের আর্থিক কার্যকলাপই কার্যত থমকে রয়েছে। তারই মধ্যে গত ক’দিনে উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজার থেকে ৯০০০ কোটি ডলার বিদেশি লগ্নি সরে গিয়েছে। ফলে তাদের সমস্যা আরও বেশি। করোনার সমস্যা দূর হলে এই দেশগুলির অর্থনীতিকে মেরামত করতে কী করা যায়, সে বিষয়েও কিছু সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। জোর দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো ও সামাজিক সুরক্ষা ক্ষেত্রে লগ্নিতে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা-সহ কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল যোগাযোগেও। তবে পরিষেবা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্র নির্ভর এই অর্থনীতিগুলির সমস্যা যে এতেই মিটবে না, সে কথাও রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই জোর দেওয়া হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য তহবিল এবং তাদের ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে একসঙ্গে কাজ করার উপরে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, মন্দার জেরে বিশ্ব অর্থনীতির কলেবর এ বছর কমবে ঠিকই। তবে করোনার প্রভাব কেটে গেলে প্রায় একই গতিতে তা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।