প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের হানা এবং তার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনে বিশ্বের বহু দেশে তেলের চাহিদা কমছে হু হু করে। ফলে দামও নেমে যাচ্ছিল তলানিতে। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এ বার ১০ শতাংশ তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিল অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)-এর সদস্য এবং মিত্র দেশগুলি। রবিবারই এই চুক্তিতে একমত হয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক প্লাস। এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন ওপেক-এর সেক্রেটারি জেনারেল মহম্মদ বার্কিন্ডো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে আমেরিকায় তেল ক্ষেত্রে বহু মানুষের চাকরি বাঁচবে।
রবিবার একটি ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ওপেক সদস্য ও সহযোগী দেশগুলি। যদিও গত ৯ এপ্রিলই এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় মেক্সিকো ভেটো দেওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে রবিবারের ভিডিয়ো বৈঠকে মেক্সিকোও সম্মত হওয়ায় তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।
সাম্প্রতিক কালে তেল উৎপাদনে এত বিপুল পরিমাণ কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত হয়নি। সদস্য দেশগুলি একমত হওয়ায় এ বার প্রতি দিন ৯৭ লক্ষ ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করবে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলির মিলিত সংগঠন। তবে নয়া চুক্তি অনুযায়ী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন প্রতিদিন উৎপাদন কমানো হবে ৮০ লক্ষ ব্যারেল। তার পর ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উৎপাদন কমবে ৬০ লক্ষ ব্যারেল করে।
আগামী পয়লা মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। সোমবার এশিয়ার বাজারে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৭.৭ শতাংশ উপরে উঠে যায়। ব্যারেলপ্রতি দাম দাঁড়ায় ২৪.৫ ডলারের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: নতুন করে ১০৮ জন আক্রান্ত চিনে, মৃত্যুমিছিল থামার নাম নেই আমেরিকায়
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই চলে আসছে করোনাভাইরাসের টিকা! দাবি অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীর
রবিবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের শক্তিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল্লাজিজ বিন সলমন। তিনিও জানিয়েছেন, সহমতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইট, ‘‘এটা সবার জন্যই বিরাট চুক্তি। এর ফলে মার্কিন মুলুকে তেলের ক্ষেত্রে বহু মানুষের চাকরি বাঁচবে।’’