Coronavirus

কাজের সময় বৃদ্ধি নিয়ে হুঁশিয়ারি 

সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রম ও নিয়োগমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে চিঠি পাঠিয়েছে এআইটিইউসি, সিটু, ইনটাক, এআইইউটিইউসি-সহ ১০ কর্মী সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা-সঙ্কটের জেরে সারা দেশে ডামাডোলের এই বাজারে কেন্দ্র কারখানায় দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করলে, তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের কথা আগাম জানিয়ে রাখল ১০ সর্বভারতীয় কর্মী সংগঠন। শ্রম মন্ত্রকের বক্তব্য, এ ভাবে সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে প্রয়োজন বুঝে তা করার অধিকার রয়েছে সমস্ত রাজ্যেরই।

Advertisement

সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রম ও নিয়োগমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে চিঠি পাঠিয়েছে এআইটিইউসি, সিটু, ইনটাক, এআইইউটিইউসি-সহ ১০ কর্মী সংগঠন। সেখানে তারা বলেছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবর, সপ্তাহে ছ’দিনে কাজের মোট সময় ৪৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা (অর্থাৎ, দিনে ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা) করার জন্য দ্রুত ১৯৪৮ সালের কারখানা আইন (ফ্যাক্টরিজ় অ্যাক্ট, ১৯৪৮) সংশোধনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সমস্ত খবরে বলা হয়েছে, এমন ব্যতিক্রমী সময়ে এ ধরনের ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ জরুরি বলেই মনে করছে সরকার। কিন্তু শ্রমিকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এ ভাবে কাজের সময় বাড়ানোর বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন: সাইবার-হানার আশঙ্কা, সতর্কিত সব হাসপাতাল

Advertisement

করোনা-সঙ্কটের মধ্যে যে ভাবে কাজের সময় বাড়িয়ে শ্রমিক শোষণের রাস্তা কেন্দ্র খুলতে চাইছে, তাতে ক্ষুব্ধ তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সরকারের একাংশের ধারণা, পারস্পরিক দূরত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক সংস্থাকে কম কর্মী নিয়ে দৈনিক কাজ চালাতে হতে পারে। বন্দোবস্ত করতে হতে পারে তাঁদের ঢোকা-বেরনোর সময়ে স্যানিটাইজ় করার। এত কিছু সামলে এক জন কারখানায় ঢোকার পরে টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করলে, উৎপাদনে সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা।

তার উপরে, এখন ওষুধ তৈরিতে কিংবা স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নির্মাণে শ্রমিকের চাহিদা বাড়তে পারে। লকডাউন উঠলে আরও কিছু পণ্যে তা হওয়ার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রেও চাহিদা সামলাতে আইন বদল জরুরি। কিন্তু ইউনিয়নের বক্তব্য, সাময়িক প্রয়োজন মেটাতে বাড়তি সময় কাজ করানোর জন্য পাকাপাকি ভাবে কাজের সময়ের আইন বদলের দরকার নেই। তা ছাড়া, যেখানে দেশে রেকর্ড বেকারত্ব, সেখানে কর্মী কম থাকার আশঙ্কাই বা কেন্দ্র করে কী ভাবে? কর্মীদের জমানো টাকার তহবিল ইপিএফ, ইএসআইয়ের টাকা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পে ব্যবহারের অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। তবে চিঠিতে শামিল হয়নি সঙ্ঘের কর্মী সংগঠন বিএমএস।

আরও পড়ুন: ধারাভি বস্তিতে কোয়রান্টিনে থাকা সকলকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাওয়াতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement