—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের জেরে একটানা ৪০ দিনেরও বেশ সময় ধরে কাজকর্ম বন্ধ রাখার পর অবশেষে হরিয়ানার মানেসর কারখানায় গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করল মারুতি। গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন থেকে কাজ বন্ধ ছিল সেখানে।
তবে কাজ শুরু হলেও, এখনই ১০০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। বরং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্মীকে নিয়ে একটি মাত্র শিফ্টে কাজ চালাতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব এ দিন বলেন, ‘‘মানেসরের কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়ে গিয়েছে। আজই একটি গাড়ি তৈরি হয়ে যাবে।’’ তবে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে আগের মতো দু’টি শিফ্টে কাজ কবে থেকে শুরু হবে, তা সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দিল্লি বিমানবন্দরে সংসার পেতেছিলেন জার্মানির অপরাধী, রওনা ৫৫ দিন পর
আরও পড়ুন: ভারতে ফ্যাভিপিরাভির ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করোনা রোগীদের উপর
গত ২২ এপ্রিল মানেসরে গাড়ির উৎপাদন শুরু করতে মারুতিকে অনুমতি দেয় হরিয়ানা সরকার। গুরুগ্রামের কারখানাটিতেও কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে একটি শিফ্টে ৪ হাজার ৬৯৬ জন কর্মীকে নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।
মানেসর এবং গুরুগ্রাম, এই দুই কারখানায় বছরে সাড়ে ১৫ লক্ষ গাড়ি তৈরি করে মারুতি। কিন্তু লকডাউনের জেরে এত দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রশ্ন করলে, তা এড়িয়ে যান ভার্গব। তবে ভারতে গাড়ির উপর অত্যধিক কর নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে গাড়ির উপর করের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারই অনেক বেশি কর নেয়। পৃথিবীর কোথাও এত বেশি কর দিতে হয় না।’’