প্রতীকী ছবি।
করোনা সমস্যার জন্য ইতিমধ্যেই দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি শিল্পের লোকসানের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকা। হিসেব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ওই পণ্য রফতানি আগের বছরের থেকে প্রায় ৬% কমেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানির প্রায় ১২ শতাংশই হয় পূর্বাঞ্চল থেকে। রাজ্যে লোকসান দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০০ কোটি। এই শিল্পের আশঙ্কা, লকডাউন চলতে থাকলে রফতানি তো কমবেই। বরাতও হারাতে হতে পারে।
ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের (ইইপিসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও নিফা এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর রাকেশ শা জানান, “এর আগে গত ক’বছর ধরে রফতানি প্রতি বছরই বেড়েছে। এমনকি দেশের অর্থনীতিতে ঝিমুনি থাকলেও, তা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। প্রতি বছরই মোট রফতানির বড় অংশই হয় মার্চে। এ বার তার প্রায় পুরোটাই মার খেয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ইইপিসি-র হিসেব অনুসারে, গত মাসে ২০১৯ সালের চেয়ে রফতানি কমেছে প্রায় ৪২.৩২%।
লকডাউনের ফলে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার জেরে বরাত খোয়ানোর আশঙ্কা করছেন ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানিকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রফতানির জন্য তৈরি বহু পণ্য গুদামে পড়ে। সেগুলির অনেকটাই আদৌ আর পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ রফতানির জন্য অনেক ধরনের পণ্যেরই বরাত আসে মরসুমের ভিত্তিতে। যেমন, কোনও দেশে ধান কাটার সময়ে সেখানে ধান কাটার মেশিনের রফতানি বাড়ে। ফলে সেই মরসুম কেটে গেলে ওই সব পণ্য রফতানি করা কঠিন হবে। আগামী বছর ওই সব পণ্য হয়তো রফতানি করা যাবে। কিন্তু এক বছর ধরে তা রাখতে গুদাম ভাড়া, ব্যাঙ্কের সুদ ইত্যাদি খাতে যে খরচ হবে, তাতে আখেরে রফতানি লাভজনক থাকবে না।
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কায় আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন, পরে কিছুটা বৃদ্ধি দামে
রাকেশবাবু বলেন, “আমরা এখন বরাত হারানোর আশঙ্কায় ভুগছি। কারণ, ভারত থেকে রফতানি কার্যত পুরোটাই বন্ধ থাকলেও ব্রাজিল, আমেরিকা বা জার্মানি-সহ আরও কিছু দেশে আমদানি-রফতানি চালু আছে। ফলে আমাদের বহু বরাত ওই সব দেশে চলে যেতে পারে। পরে যা ফিরে পাওয়া কঠিন হবে। তা ছাড়া, যে সব সংস্থা বরাত দিয়েছিল, তাদের অনেকেই মওকা বুঝে এখন দামে ছাড় দিতে বলছে। যার ফলে বাড়বে লোকসানের বহর।’’ এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় এই শিল্প।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)