Coronavirus

অর্থনীতি ছন্দে ফিরতে লাগবে অন্তত এক বছর

তিনশোরও বেশি সিইও-কে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় সিআইআই বলছে, তাঁদের ৬৫ শতাংশই মনে করেন, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আয় কমতে পারে ৪০ শতাংশেরও বেশি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৫:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা যুঝতে লকডাউন জরুরি ঠিকই, কিন্তু এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড যতটা ধাক্কা খেয়েছে তার জের কাটাতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সিআইআই। দেশের যে সমস্ত জেলায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বেশি চলে, সেখানে পুরোদমে কাজ চালুর অনুমতি দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছে বণিকসভাটি। পাশাপাশি অ্যাসোচ্যামের বক্তব্য, প্রশাসনের নীচের স্তরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তারা সিদ্ধান্ত নিক নির্ভয়ে।

Advertisement

তিনশোরও বেশি সিইও-কে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় সিআইআই বলছে, তাঁদের ৬৫ শতাংশই মনে করেন, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আয় কমতে পারে ৪০ শতাংশেরও বেশি। ৪৫ শতাংশের ধারণা, লকডাউনের পরে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে লাগবে এক বছরেরও বেশি। আশঙ্কা রয়েছে কাজ হারানোরও।

অবস্থা কিছুটা সামাল দিতে ভারত চেম্বারের কর্তা এন জি খৈতান এবং অ্যাসোচ্যামের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সুনীল কানোরিয়ার পরামর্শ, এ বার সতর্কতা বিধি মেনে ধাপে ধাপে যেখানে যেখানে সম্ভব গণপরিবহণ চালু করা দরকার। তা হলে যাবতীয় কাজকর্ম ধীরে ধীরে চালু করা সম্ভব হবে। এ দিনই ভিডিয়ো কনফারেন্সে এক আলোচনায় সুনীল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আমলাতন্ত্র, ব্যাঙ্ক, সবাই কিছু করার আগে ভাবছে, সকলে কী বলবে!’’ মার্চেন্ট চেম্বারের মতে, ৩৩% কর্মীর অফিস যাতায়াতের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে জন্য ছাড়পত্র দিতে পুলিসকে পরামর্শ দেওয়া উচিত রাজ্যের। বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বি বি চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন, এ বার বেসরকারি অফিস ধাপে ধাপে চালু করা সম্ভব হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: জনধনের টাকা কোন দিন, জারি বিজ্ঞপ্তি

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement