Coronavirus

অর্থনীতির ক্ষতি, স্বীকার প্রধানমন্ত্রীর

দেশে ২১ দিন আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলে অর্থনীতির কতখানি ক্ষতি হবে, তার অঙ্ক কষতে হিমশিম খাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ০৮:০৬
Share:

করোনার জেরে ২১ দিন লকডাউন ঘোষণার ফলে যে আর্থিক মূল্য চোকাতে হবে, তা মানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ক্ষতি স্বীকার করেও, মানুষের জীবনই যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, জানাতে ভোলেননি তিনি।

Advertisement

দেশে ২১ দিন আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলে অর্থনীতির কতখানি ক্ষতি হবে, তার অঙ্ক কষতে হিমশিম খাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। শিল্প মহল থেকে অর্থনীতিবিদরা দাবি তুলছেন, অন্তত গরিব মানুষ, বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, দিনমজুরদের সুরাহার বন্দোবস্ত করা হোক। মোদী নিজেই মেনেছেন, গরিবদের জন্য এই লকডাউউন-পর্ব কঠিন হবে। তাঁর বক্তব্য, গরিবদের সাহায্য করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি নাগরিক সমাজও যথাসম্ভব চেষ্টা করছে।

কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, ২১ দিন প্রায় সব আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলে শিল্প, পরিষেবা ক্ষেত্রের আয়ে কোপ পড়বে। ফলে এই সব ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষের আয়ে টান পড়বে। সিআইআই-এর মতো বণিকসভাগুলি লকডাউনকে স্বাগন জানালেও আজ ফের দাবি তুলেছে, আয়ের দিক থেকে একেবারে নিচের সারিতে থাকা মানুষের জন্য কিছু সুরাহার বন্দোবস্ত করা হোক। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, করোনা থেকে তৈরি রুটিরুজির সঙ্কটের কী ভাবে সমাধান হবে? গরিব, মজুর, কৃষক, দোকানদারের ২১ দিন কী ভাবে কাটবে? সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, হতাশাজনক যে গরিবদের সুরাহার জন্য ঘোষণা হল না। ইন্ডিয়ান চেম্বারের দাবি, অত্যাবশ্যক পণ্য ও পরিষেবা দিতে অত্যাবশ্যক নয় এমন যে সব পণ্য জরুরি, তাদের উৎপাদন চালাতে সায় দিক কেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement