প্রতীকী চিত্র
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। লকডাউনে বিপর্যস্ত আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকার পরিকল্পনাও স্বাগত। কিন্তু শিল্প ও ব্যবসার পুনরুজ্জীবন ও তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজ্যের কাছে আরও বাড়তি ত্রাণের আর্জি জানাল সিআইআই। পাশাপাশি, সহজে ব্যবসার পরিবেশের সওয়াল করে শ্বেতপত্র পেশ করেছে বণিকসভা।
সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা তাদের সদস্যদের সঙ্গে অলোচনার ভিত্তিতে রাজ্যের অর্থনীতির উপরে তৈরি হওয়া চাপ কমাতে শ্বেতপত্রটি তৈরি করেছে। সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, বিশেষত পর্যটন, হোটেল, সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন জগতের কর্মীদের বেতনে সহায়তা-সহ দ্রুত বিভিন্ন সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে তারা। এ ছাড়াও করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম তৈরিতে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের মতো আরও কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাবও রয়েছে তাতে।
পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘সঙ্কট কাটাতে সমাজের সব স্তরের পারস্পরিক সহযোগিতাই একমাত্র পথ।’’ সিআইআইয়ের রাজ্য কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহুল মোহঙ্কার বক্তব্য, তাঁরা রাজ্যের কাছে শিল্পের সমস্যার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক পুনর্বাসনেও উদ্যোগী হয়েছেন। এ দিকে, লকডাউনের জেরে এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪১৭৯ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস।