রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের আনা অভিযোগে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি কর্ণধার মাধবী পুরী বুচের নাম জড়ানোর ঘটনার তদন্ত দাবি। অন্য দিকে দেশে চড়া বেকারত্বে রাশ টানতে ও তরুণ প্রজন্মকে কাজের সুযোগ করে দিতে মোদী সরকারের ব্যর্থতা। এই দুই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগল কংগ্রেস।
হিন্ডেনবার্গের দাবি, যে বিদেশি তহবিল দিয়ে আদানিদের সংস্থার শেয়ার দর বাড়ানো হয়, সেই তহবিলেই লগ্নি ছিল মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবলের। সেই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার যন্তরমন্তর-সহ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ফের যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) তৈরি করে তদন্ত এবং মাধবীর পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস। কী করে সেবি আদানি কেলেঙ্কারির স্বচ্ছ তদন্ত করবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেন, ‘‘যদি আপনারা (কেন্দ্র) ভুল না করে থাকেন, তা হলে জেপিসি তৈরি করছেন না কেন? সারা দেশের এই কথা শোনা উচিত এবং বোঝা দরকার যে কংগ্রেস জেপিসি-র মাধ্যমে স্বচ্ছ তদন্ত চায়।’’
এ দিকে সংবাদমাধ্যমের খবর তুলে ধরে এক্স-এ সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র। ২০২২-২৩ সালে দেশে ২.৪৩ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ৩৭৫টি সংস্থায় বিপুল ছাঁটাই হয়েছে। ...অজৈবিক প্রধানমন্ত্রী বছরে দু’কোটি চাকরি তৈরি, ৮ কোটি কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সত্যিটা হল দেশ বেকারত্বে জর্জরিত।... দুঃখের বিষয় নিজেকে ভগবানের অবতার বলে দাবি করা ব্যক্তির পরিস্থিতি সামলানোর পরিকল্পনা নেই।’’ উল্লেখ্য, ব্যাঙ্ক অব বরোদার রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে কাজ তৈরি বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ১.৫%। আগের বছরে ছিল ৫.৭%।