—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্র দাবি করেছে, ২০১১-১২ অর্থবর্ষের নিরিখে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের পরিবারগুলির মাসিক খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যনের ব্যাখ্যা, দেশে দারিদ্রের হার যে কমে ৫ শতাংশে নেমেছে তা এই রিপোর্টে স্পষ্ট। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দাবি করেছেন, দেশের দারিদ্রের হার এখন সর্বনিম্ন। আজ সেই সমীক্ষার উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কটাক্ষ, এই রিপোর্ট নির্বাচন অনুপ্রাণিত। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের আর্থিক পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করছে।
আজ এক্স-এ হিন্দিতে একটি পোস্ট করে খড়্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে শেষ রিপোর্ট প্রকাশের পরে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের রিপোর্ট প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশ হয়েছে এক দশক পরে। তাঁর বক্তব্য, ঠিক তথ্য জানার জন্য প্রথমে জনগণনার প্রয়োজন। একই সঙ্গে হওয়া উচিত জাতগণনা। খড়্গের বক্তব্য, ‘‘আমাদের একটিই দাবি। যত দ্রুত সম্ভব ২০২১ সালের জনগণনা করা হোক। তার একটি অংশ হোক জাতগণনা। নতুন সরকার গঠিত হলে কংগ্রেস নিশ্চিত ভাবেই তা করবে।’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘দেশের এতই যদি অগ্রগতি হয় তা হলে দেশের দরিদ্রতম ৫% পরিবারের দৈনিক খরচের ক্ষমতা কেন মাত্র ৪৬ টাকা? কেন এই পরিবারগুলি সামাজিক প্রকল্প বাবদ মাসে মাত্র ৬৮ টাকার সুবিধা পায়? বাকি সুবিধা কি পায় পুঁজিপতি বন্ধুরা? কৃষকদের মাসিক আয়ই বা গ্রামাঞ্চলের গড় আয়ের চেয়ে কম কেন?’’ সম্প্রতি নীতি আয়োগের প্রকাশ করা বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচকের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে দরিদ্র মানুষের হার ১১.২৮%। সেই সংস্থারই কর্তা কী ভাবে দারিদ্রের হার আরও কম বলে দাবি করলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের দাবি, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের রিপোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল মোদী সরকার। কারণ, সেই রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছিল নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর ফলে সেই সময়ে খরচের ক্ষমতা চার দশকের সর্বনিম্নে ঠেকেছিল।
এ দিকে, জাতীয় পরিসংখ্যান কমিটির চেয়ারম্যান প্রণব সেন আজ জানান, মূল্যসূচক বদলের আগে পারিবারিক খরচের আরও এক দফা সমীক্ষা করাবে সরকার। তা করা হবে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। সেখানে পণ্য ও ব্র্যান্ডের বিষয়েও তথ্য থাকবে।