—প্রতীকী চিত্র।
আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলে সোমবারই বার্তা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। যা আদতে ‘জুমলা’ বলে ফের মোদী সরকারকে তোপ দাগল বিরোধী কংগ্রেস। সেই সঙ্গে আক্রমণ করল দেশে চড়া বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জেরে তরুণ প্রজন্মের কাজের খোঁজে ইজ়রায়েল যাওয়া নিয়েও। পাশাপাশি, সমাজকল্যাণ খাতে ব্যয় কমানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। যদিও এ দিন আইএমএফের পূর্বাভাসকে তুলে ধরে এক্স-এ দেশের অর্থনীতির উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরে মন্ত্রকের দাবি, সরকারি লগ্নি এবং সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেশের বাজারে আস্থাই দেখা গিয়েছে রিপোর্টে। যা বলছে, ভারত এখনও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ।
মঙ্গলবার এক্স-এ একটি ভিডিয়ো তুলে ধরেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার। যেখানে ইজ়রায়েলে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘যেখানে যুদ্ধ চলে, প্রথম কাজ হয় সেখান থেকে আমাদের দেশের মানুষকে ভারতে ফিরিয়ে আনা। ...কিন্তু এখন দেশে বেকারত্ব এমন অবস্থা তৈরি করেছে যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে যাওয়ার জন্য তৈরি হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে বাঁচাচ্ছে না সরকার। এটাই প্রমাণ করে যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারর অর্থনীতি, বছরে ২ কোটি কাজ, মোদী গ্যারান্টি আসলে ভোটের বাজারে জুমলা।’’
ভোটের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টানা আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। তুলে ধরছেন বেকারত্বের হার আগের থেকে চড়া, মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষের কথা। সোমবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, ‘‘দেশে বেকারত্বের হার যখন ৪০ বছরের শীর্ষে, ঠিক তখন নোটবন্দি এবং জিএসটি কার্যকর করা হয়েছিল। তার বিরূপ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দরিদ্র মানুষ, শ্রমিক, ছোট দোকানদার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের উপরে। তাঁরা আর্থিক অবিচারের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।’’
অর্থ মন্ত্রকের অবশ্য বক্তব্য, এখনকার বাজারদরের নিরিখে অর্থনীতি ছুঁয়েছে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলার। বিশ্ব অর্থনীতিতে বিভিন্ন ঝুঁকি সত্ত্বেও আগামী তিন বছরের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে দেশ। পঞ্চম স্থান থেকে উঠে আসবে তৃতীয় স্থানে। আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৭% বা তার বেশি। ২০৩০ সালে ভারতের অর্থনীতির মাপ দাঁড়াবে ৭ লক্ষ কোটি ডলারে। তার উপরে আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে দেশের জিডিপি ছোঁবে ৬.৭%। মাঝারি মেয়াদে থাকবে ৬.৫ শতাংশে।