ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বাজারে সাত মাসের তলানিতে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম। ব্যারেলে ৯০-৯২ ডলার। ভারত কিনছে প্রায় ৮৮ ডলারে (৮ সেপ্টেম্বরের বাস্কেট অনুযায়ী)। কিছুটা সস্তা হয়েছে এলপিজি-র আন্তর্জাতিক মূল্যও। তবু দেশে পেট্রল-ডিজ়েল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কমার নামগন্ধ নেই। পাঁচ মাস ধরে স্থির তেল। হাজার টাকার উপরে গ্যাস সিলিন্ডার। এ নিয়ে রবিবার ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। অভিযোগ তুলল, তেলের দাম এখন নিয়ন্ত্রিত হয় ভোটের দিনক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্ব বাজারের দরের ভিত্তিতে নয়। অবিলম্বে পেট্রল-ডিজ়েল লিটারে ১৫ টাকা এবং গ্যাস সিলিন্ডার অন্তত ১৫০ টাকা কমানোর দাবিও করেছে তারা।
বিরোধী শিবিরের আশঙ্কা, বছর শেষে গুজরাতের ভোট। তার আগে জ্বালানির দাম কমিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে বিজেপি। ঠিক যেমন পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে করেছে। সব ক্ষেত্রেই ভোটের পরে চড়েছে দর।
এ দিন জ্বালানি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে বিবৃতি জারি করেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ। তাঁর প্রশ্ন, চড়া জ্বালানির কারণে মাথা তোলা মূল্যবৃদ্ধি সব থেকে বেশি ধাক্কা দিয়েছে সাধারণ এবং স্বল্প রোজগেরে মানুষকে। তাই বিশ্ব বাজারে তেল এবং গ্যাসের দাম কমার সুবিধা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না কেন? বিশেষত বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে যেহেতু গ্রাহকদের ঘাড়ে বোঝা চাপতে সময় লাগেনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা সূত্রের অবশ্য দাবি, যখন চড়া দামে অশোধিত তেল কিনতে হচ্ছিল, তখনও দেশে দাম বাড়ানো হয়নি মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ফলে বিপুল লোকসান গুনেছে তারা। এখন আমদানি খরচ কমায় সেই লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার পালা চলছে। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর দাবি, বিশ্ব বাজারে দাম চড়ার সময়েই ভারতে জ্বালানি সস্তা হয়েছে।