রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠী, সেবি ও তার কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ, বিজেপি তথা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ বহাল রাখল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলের নেতা রাহুল গান্ধী তিন পক্ষের যোগসাজশে ‘মোনোপলি বাঁচাও সিন্ডিকেট’ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সঙ্গে দাবি, বিদেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামকে নাম পাল্টে ভারতে তৈরি বলে বেচে মুনাফা করছে আদানি ডিফেন্স। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গের তোপ, বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে সেবি-র ভাবমূর্তি সরকার নষ্ট করেছে ও ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের তহবিল ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিরোধীদের ফের দাবি, যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তই সত্যিটা বার করে আনতে পারে।
সেবি-র আতসকাচে থাকা ইন্ডিয়া বুলস গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সংস্থা গ্রিন ওয়ার্ল্ড বিল্ডকন অ্যান্ড ইনফ্রাকে অফিস ভাড়া দিয়ে বুচ আয় করেছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তাঁর শেয়ার থাকা প্রেডিব্ল হেল্থ-এ (যারা স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ায় টাকা পেয়েছে) পুঁজি ঢেলেছে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিন্স-এর সংস্থা জাকেসা ইনভেস্টমেন্ট। যার নাম আছে বিশ্বের তদন্তকারী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে-র প্যারাডাইস পেপারে।
এ দিন কংগ্রেস নেতা পবন খেরার দাবি, সেবি-র পূর্ণ সময়ের সদস্য অনন্ত নারায়ণও ব্রোকারেজ সংস্থা আইএমসি ইন্ডিয়া সিকিয়োরিটিজ়স নিযুক্ত স্টক ব্রোকারকে বাড়ি ভাড়া দিয়ে ৬৪.৮ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। ২০২২-এর ১০ অক্টোবর সদস্য হন নারায়ণ।
আবার আদানি ডিফেন্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল ও খেরার দাবি,সংস্থা মুনাফা কামায়। অথচ সঙ্কটে পড়ে জাতীয় সুরক্ষা ও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। এই সবই আদানিদের একাধিপত্য বজায় রাখতে করা।