—প্রতীকী চিত্র।
গত ন’বছরে দেশের ২৪.৮২ কোটি মানুষ দারিদ্রের কবল থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে নীতি আয়োগ দাবি করেছিল। আজ কংগ্রেস তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ জানাল, মোদী সরকার আসলে এই দাবি করে দরিদ্রদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, যদি দারিদ্রের প্রকোপ থেকে সত্যিই ২৫ কোটি মানুষ বেরিয়ে আসেন, তা হলে বাজারে কেনাকাটা বাড়ছে না কেন?
চলতি সপ্তাহেই নীতি আয়োগ বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচকের রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছিল, মোদী সরকারের আমলে গত ন’বছরে দেশের ২৪.৮২ কোটি মানুষ দারিদ্রের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আজ কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে প্রশ্ন তুলেছেন, নীতি আয়োগের এই দাবি অনুযায়ী, দেশে মাত্র ১১% মতো গরিব মানুষ রয়েছেন। তার অর্থ ১৪০ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি গরিব মানুষ। তা হলে মোদী সরকারকে ৮০ কোটি গরিব মানুষকে কেন বিনামূল্যে রেশন দিতে হচ্ছে!
শ্রীনতে বলেন, নীতি আয়োগের রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা আইএমএফের মতো কোনও সংস্থা সিলমোহর দেয়নি। নীতি আয়োগ নিজেই সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। কত জনের উপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তা-ও কেউ জানে না। শ্রীনতের বক্তব্য, ইউপিএ সরকারের আমলে ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্রের কবল থেকে বার করে আনা হয়েছিল। তা বিশ্ব ব্যাঙ্ক মেনে নিয়েছিল। এখন নীতি আয়োগ দারিদ্র মাপার মাপকাঠি বদলে দিয়েছে। কারও বাড়িতে শৌচালয় থাকলেই তিনি দরিদ্র নন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাঁর খাদ্য জুটছে কি না, তা দেখা হচ্ছে না। কোনও গ্রামের পাঁচটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলে গোটা গ্রামের মানুষ দরিদ্র নন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে গোটা বিজেপি এর কৃতিত্ব নিতে মাঠে নেমেছিল। কংগ্রেসের প্রশ্ন, দারিদ্র কমলে মানুষের কেনাকাটা বাড়া উচিত। বাস্তবে আমজনতার কেনাকাটা বৃদ্ধির হার গত বছরের ৭.১% থেকে কমে এ বছরে ৪.৪% হয়েছে। তেল, সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুটের মতো রোজকার প্রয়োজনের জিনিসপত্রের কেনাকাটা কমেছে।