Microplastic Contamination

খাদ্যপণ্যে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে তৎপর নিয়ন্ত্রক

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য এমন একটি বিশ্লেষণমূলক এবং বৈধ প্রক্রিয়া বার করা, যা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্যে মাইক্রো এবং ন্যানো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব চিহ্নিত করতে পারবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৪:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

খাবারে মাইক্রোপ্লাসটিক দূষণের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক এই সঙ্কটের ক্রমাগত মাথা তুলতে থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে তা আটকাতে কোমর বেঁধেছে ভারতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই। আর সেই লক্ষ্য থেকেই চালু করেছে নতুন এক প্রকল্প। তাদের দাবি, দেশে এই দূষণ কতটা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রকল্পে সেটাই খতিয়ে দেখা হবে। তার পরে তৈরি হবে নিয়ন্ত্রণ বিধি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাবারে বাঁধা হবে সুরক্ষার মান।

Advertisement

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য এমন একটি বিশ্লেষণমূলক এবং বৈধ প্রক্রিয়া বার করা, যা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্যে মাইক্রো এবং ন্যানো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব চিহ্নিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে এটাও দেখাতে পারবে, সেগুলি কোথায় কত পরিমাণে আছে এবং এ দেশের মানুষ ঠিক কতখানি দূষিত খাবার খাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা সম্প্রতি চিনি এবং নুনের মতো খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির কথা বলেছে। রিপোর্টে এই সঙ্কট নিয়ে আরও বেশি তথ্যের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দিয়েছে। যাতে মানুষের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষায়, বিশেষত ভারতীয় প্রেক্ষাপটে এই দূষণের ফল আরও স্পষ্ট বোঝা যায়। এফএসএসএআইয়ের দাবি, ভারতীয়দের জন্য সুরক্ষিত খাবার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ তারা।

গোটা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায়। তার মধ্যে রয়েছে সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টক্সিকোলজি রিসার্চ (লখনউ), আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিশারিজ় টেকনোলজি (কোচি), বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (পিলানি)।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement