গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নিরামিষ রান্না হোক বা আমিষ, গৃহস্থের হেঁশেল আরও উত্তপ্ত হয়েছে আনাজের আগুন দামে।
বুধবার মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের সমীক্ষা-রিপোর্ট জানিয়েছে, বাড়িতে দু’ধরনের খাবার তৈরির খরচই বেড়েছে গত মাসে। নিরামিষ থালির ক্ষেত্রে তা আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় ২০% চড়ে হয়েছে ৩৩.৩ টাকা। আগের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের ৩১.৩ টাকার তুলনায়ও তা বেশি। এর কারণ সেই আনাজের দর। বহু দিন ধরে যার জেরে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। দেখা গিয়েছে, গত মাসে টোম্যাটো, আলু, পেঁয়াজের মতো খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের নিরিখে বিপুল বেড়েছে। অন্য দিকে, মুরগির মাংস ৯% সস্তা হলেও খরচ কমেনি আমিষ রান্নার। ২০২৩-এর অক্টোবর এই থালি রাঁধতে লেগেছিল ৫৮.৬ টাকা। গত সেপ্টেম্বরের খরচ পড়ে ৫৯.৩ টাকা। অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৬১.৬ টাকা।
ক্রিসিলের ‘ভাত-রুটির হার’ সমীক্ষা দেশবাসীর উপরে খাদ্যপণ্যের দামের প্রভাবকে তুলে ধরে। তাদের নিরামিষ থালির খরচ মূলত নির্ভর করে আনাজের দামের উপর। রিপোর্টে দাবি, গত মাসে টানা বৃষ্টির জন্য বাজারে আলু, পেঁয়াজের জোগান এত কম ছিল যে দাম বেড়ে যায়। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে সেগুলির চাষে ধাক্কা খাওয়াও একটি কারণ। টোম্যাটোর খরচ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। তার উপর নিরামিষ থালিতে ১১% গুরুত্ব যে ডালের, তা-ও কিনতে লেগেছে ১১% বেশি টাকা। সব কিছু মিলে রান্নার খরচকে ঠেলে তুলেছে। জ্বালানির খরচ ১১% না কমলে তা আরও বেশি হত।
আমিষ থালির প্রধান পদ অবশ্য মাংস। ডাল থাকে না তাতে। মাংসের দাম কমেছে। কিন্তু তার পরেও রান্নার খরচ বেড়েছে আনাজের জন্যই। আমিষ রান্নায় যার গুরুত্ব মাত্র ২২%। এই খাতে অতিরিক্ত খরচ মাংসের দাম কমার সুবিধাকে সাধারণ মানুষের পাতে পৌঁছতে দেয়নি।