Price Of Food Commodities

কমল পাইকারি দাম, তবু অস্বস্তি খাদ্যপণ্যে

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এমনিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয়। তবে খাদ্যপণ্য যেহেতু সার্বিক ভাবে সমস্যা তৈরি করছে, তাই এখনও কয়েকটির পাইকারি দামের মাথা তুলে থাকাও ভাবাবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি জানুয়ারিতে ০.২৭% হয়ে তিন মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে নামল। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারের মাথা নামানো তাতে বিশেষ সহায়কও হল। তবু অস্বস্তি গেল না। কারণ আগের থেকে কমলেও, ওই বাজারে আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হার এখনও ৭ শতাংশের কাছাকাছি (৬.৮৫%)। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পাইকারি দামের প্রভাব সরাসরি ক্রেতার উপরে পড়ে না। খুচরো বাজারের দামে এর ছাপ পড়তেও সময় লাগে। তবু তার দ্রুত কমা দরকার। কারণ ৬% পেরিয়ে যাওয়া মূল্যবৃদ্ধি বেশ চড়া। তাঁদের দাবি, সাধারণ ভাবে শীতের মরসুমের খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসে। কিন্তু এ বার খুচরো বা পাইকারি, কোথাও তা দেখা যায়নি। তাই গরম পড়লে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছেই। তবে ডিসেম্বরের থেকে দাম কমে আসা আশাজনক।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এমনিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয়। তবে খাদ্যপণ্য যেহেতু সার্বিক ভাবে সমস্যা তৈরি করছে, তাই এখনও কয়েকটির পাইকারি দামের মাথা তুলে থাকাও ভাবাবে।

গত এপ্রিল-অক্টোবরে পণ্যের পাইকারি দাম কমছিল। নভেম্বরে বাড়তে শুরু করে হয় ০.৩৯%। পরের মাসে ০.৭৩% হলেও জানুয়ারিতে হল ০.২৭%। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও ডিসেম্বরের ৯.৩৮% থেকে কম। তবু আনাজ, গম, ধান, দুধের দাম বৃদ্ধির হার চিন্তা বহাল রেখেছে।

Advertisement

পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, “শীত যাওয়ার পরে খাদ্যপণ্যের দামে কড়া নজর রাখা জরুরি। অসময়ে বৃষ্টি হলে তা হিসাব গুলিয়ে দিতে পারে। সজাগ থাকতে হবে কেন্দ্রকে।’’ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের মতে, ‘‘পাইকারি বাজার হলেও খাদ্যপণ্যের ৬ শতাংশের বেশি মূল্যবৃদ্ধি অস্বস্তিজনক। দাম আগের থেকে কমলেও সব কিছু সস্তা হয়নি। গত মাসে আনাজের দর স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই উপরে ছিল। নিরামিষ থালির দাম হালে যে কারণে ফের কিছুটা বেড়েছে। তাই বিষয়টি এখনও সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement