nabard

বঙ্গে নাবার্ডের ধারের প্রশ্নে বাড়ছে জটিলতা

গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (আরআইডিএফ) কাজ ছাড়াও প্রাথমিক কৃষি সমবায় সোসাইটির আওতায় ‘মাল্টি সার্ভিস সেন্টার’ খাতে ঋণ দেয় নাবার্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪৫
Share:

নাবার্ড জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত ১১৫ জন ঋণের আবেদন করেছিলেন। মঞ্জুর হয়েছে ৯৫ জনের।

বাংলার অনেক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি দিল্লিতে দরবারও করছে রাজ্য। এই অবস্থায় কৃষি পরিকাঠামোয় কেন্দ্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান নাবার্ডের ঋণ পাওয়া নিয়ে জটিলতা বাড়ল প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

সূত্রের খবর, গ্রামীণ এবং কৃষি পরিকাঠামোর বড় অংশের কাজে নাবার্ডের ঋণ মেলে। যা পেতে দেরি হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, টাকা আটকে গিয়েছে ঋণ শোধে রাজ্যের গ্যারান্টি না মেলায়। তবে পঞ্চায়েত দফতরের দাবি, গ্যারান্টি নিয়ে সমস্যা নেই। সময় লাগছে নাবার্ডের নিজস্ব কাজের জন্য।

গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (আরআইডিএফ) কাজ ছাড়াও প্রাথমিক কৃষি সমবায় সোসাইটির আওতায় ‘মাল্টি সার্ভিস সেন্টার’ খাতে ঋণ দেয় নাবার্ড। সূত্রের দাবি, এই প্রকল্পে হিমঘর, গুদামঘর, চাল, তেলকলের মতো পরিকাঠামো গড়া যায়। কেন্দ্রের থেকে ভর্তুকি মেলে। তবে নাবার্ডের ধারের জন্য রাজ্যর গ্যারান্টি জরুরি। নাবার্ড জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত ১১৫ জন ঋণের আবেদন করেছিলেন। মঞ্জুর হয়েছে ৯৫ জনের। বাকিগুলিতে ত্রুটি সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। তাই সময় লাগছে। রাজ্য বহু দিন আগেই গ্যারান্টি দিয়েছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, নাবার্ডের ঋণ পেতে আরআইডিএফের ঠিক করা কাজগুলির সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট পঞ্চায়েত দফতরে পাঠানো হয়। রাজ্য তা পাঠায় নাবার্ডের কাছে। তারা সায় দিলে সংশ্লিষ্ট জেলাকে কাজ শুরু করতে বলে রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, আরআইডিএফ ২৭-এর আওতায় ১১৬টি প্রকল্পে সায় ও দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে জুলাইয়ের শেষে নাবার্ডের কাছে পাঠানো হয়। সেগুলিতে মোট অঙ্ক প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। সেটা নিয়ে কাজ চলছে। সমস্যা নেই রাজ্যের গ্যারান্টি নিয়েও।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement