অজয় ত্যাগী
শেয়ার লেনদেন নিয়ে এনএসই-র অন্দরে কিছু অনিয়মের অভিযোগ মাথা তুলেছে আগেই। ফলে অনিশ্চয়তা দানা বাঁধছিল স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রথম বার শেয়ার ছাড়া ঘিরে। এ বার তা আরও চেপে বসল সোমবার, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র চেয়ারম্যান অজয় ত্যাগীর মন্তব্যের পরে। যেখানে তাঁর ইঙ্গিত, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যে-দিকে গড়াচ্ছে, তাতে এই শেয়ার ইস্যুর জন্য এনএসই-কে নতুন করে খসড়া প্রস্তাবনাপত্র (ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস) দাখিল করতে হতে পারে। যা পেশ হয়েছিল গত ডিসেম্বরের শেষে। সেখানে বলা হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা।
অভিযোগ উঠেছে, এনএসই-র কিছু ব্রোকারকে অনৈতিক ভাবে শেয়ার লেনদেনে সুবিধা করে দেওয়ার। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সেবি। বাজার সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত এনএসই কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় জড়িত ও দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁদের বড় মাপের জরিমানাও হতে পারে।
সূত্রের দাবি, বিষয়টির ফয়সালা না-হওয়া পর্যন্ত সেবি এনএসই-কে শেয়ার ছাড়তে দেবে না। কারণ, ইস্যুর দাম-সহ আইপিও-র বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর জের পড়তে পারে। যে-কারণে ঘটনাটিকে এ দিন ‘গুরুতর’ তকমা দেন ত্যাগী-ও। এ অবস্থায় সংশোধিত প্রস্তাব দাখিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মনে হয় ওঁরা নিজেরাই তা করবেন।’’
আরও পড়ুন: পরিবেশ দূষণ নিয়ে এ বার ট্রাম্পকে দূষলেন হকিং
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় ধরে শেয়ার নথিভুক্তির প্রশ্নেও ঝুলে ছিল এই ইস্যু। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন, শেয়ার নথিবদ্ধ হোক এনএসই-তেই। অথচ সেবি-র নিয়ম, নিজের এক্সচেঞ্জে নয়, বিএসই-তে নথিভুক্ত করতে হবে শেয়ার। দেরির আর একটি কারণ, স্টক এক্সচেঞ্জটির ব্যবসা ঢেলে সাজা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মতৈক্য না-থাকা।
এ দিকে, নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে পরিচালনার মান উন্নত করায় এ দিন জোর দেন ত্যাগী। ২০% রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পর্ষদে এক জনও মহিলা ডিরেক্টর নেই বলে আঙুল তোলেন তিনি। যেখানে অন্তত ৩ জন রাখাই নিয়ম। অসন্তোষ প্রকাশ করেন, বহু সংস্থায় প্রোমোটারের খেয়াল-খুশিতে স্বাধীন ডিরেক্টর নিয়োগ নিয়েও।
ত্যাগী জানিয়েছেন, মূল্যায়ন সংস্থা বা রেটিং এজেন্সিগুলির কাজ নিয়েও তিনি খুশি নন। তাঁর দাবি, নির্ভুল মূল্যায়নের জন্য এ সংক্রান্ত নতুন বিধি আনতে এক মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে।