মার্কিন মুলুকে সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে শেয়ার লেনদেনে বেআইনি ভাবে মুনাফা কামানোর অভিযোগ উঠল দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোগপতির বিরুদ্ধে। এই দু’জন হলেন অমিত কানোড়িয়া ও ইফতিকার আহমেদ। একই কারণে সেই আমেরিকাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন ম্যাকিনসে কর্ণধার রজত গুপ্ত। এ জন্য জেলও খাটছেন তিনি।
কানোড়িয়াদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে অ্যাপোলো টায়ার্স-এর দেওয়া আমেরিকার কুপার টায়ার অ্যান্ড রাবারকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব ঘিরে। যদিও শেষমেশ ওই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি-র অভিযোগ, এই অধিগ্রহণের তথ্য ফাঁস করেই মুনাফা লোটেন দু’জন। এসইসি জানিয়েছে, ২০১৩ সালের জুনে যখন অধিগ্রহণের কথা ঘোষিত হয়, তখন কানোড়িয়ার স্ত্রী অ্যাপোলোয় কাজ করতেন। ঘোষণার দু’মাস আগে প্রস্তাবটি স্ত্রী মারফত জেনে আহমেদের কানে তোলেন কানোড়িয়া। এসইসি-র অভিযোগ, তার পরই কুপার টায়ারের বড় মাপের শেয়ার কেনা শুরু করেন আহমেদ। পরে হস্তান্তর প্রস্তাব ঘোষণার পর যখন সংস্থাটির শেয়ার দর এক লাফে ৪৩% বাড়ে, তখন অবিলম্বে তা ভাঙিয়ে নগদে ১১ লক্ষ ডলারেরও বেশি ঘরে তোলেন তিনি। যার থেকে ২.২০ লক্ষ ডলার লিঙ্কন চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন-এ স্থানান্তরিত করা হয়। এই সংস্থাটি কানোড়িয়ারই নিয়ন্ত্রিত বলে দাবি এসইসি-র।
৪৭ বছরের কানোড়িয়া প্রাইভেট ইকুইটি লগ্নিকারী। আর ৪৩ বছরের আহমেদ কানেক্টিকাটের এক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থার অংশীদার। দিল্লি আইআইটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে পাশ করা। জালিয়াতির মাধ্যমে আয় করা এই টাকা তাঁদের থেকে সুদ-সহ আদায় করতে চায় এসইসি। সঙ্গে জরিমানাও।